রংপুরের বিপক্ষে রানের পাহাড় সিলেটের

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৫ | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের ১১তম আসরের সিলেট পর্ব শুরু হয়েছে আজ থেকে। সিলেটের উইকেটে বরাবরই ব্যাটারদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এবারের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে  রংপুর রাইডার্স ও স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স। যেখানে আগে ব্যাট করে রানের পাহাড় গড়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। 

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি)  সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স।  রনি তালুকদার, লোকাল বয় জাকির হাসানের অর্ধশতক এবং আরেক লোকাল বয় জাকের আলীর সঙ্গে অ্যারন জোন্সের ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছে। শেষ ওভারে চারটি ছক্কা খেয়েছেন রংপুরের নাহিদ রানা।

সিলেটের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন জর্জ মুন্সি ও রনি তালুকদার। শুরু থেকেই দেখেশুনেই খেলতে থাকেন তারা। অবশেষে এই জুটিকে থামিয়ে রংপুরকে ব্রেকথ্রু এনে দেন আকিফ জাভেদ। আকিফ জাভেদের বলে আজিজুল হাকিম তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১২ বলে ১৮ রান করা জর্জ মুন্সি। তার বিদায়ে ৪৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। 

জর্জ মুন্সির বিদায়ের পর জাকির হাসানের সাথে জুটি গড়েন রনি তালুকদার। রংপুরের বিপক্ষে আজ তিনি ৩০ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। তবে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর নিজের ইনিংসকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি রনি তালুকদার।

৩২ বলে ৫৪ রান করে শেখ মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রনি তালুকদার। তার বিদায়ে ৮৮ রানে ২ উইকেট হারায় আরিফুল হকের দল।

৮৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন জাকির হাসান ও পল স্টার্লিং। এই জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে রংপুর। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামিয়ে রংপুরকে স্বস্তি এনে দেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে শেখ মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান পল স্টার্লিং। আউট হওয়ার আগে করেন ১৬ বলে ১৬ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। 

পল স্টার্লিংয়ের বিদায়ের পর অ্যারন জোন্সকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন জাকির হাসান। রনি তালুকদারের পর তিনিও আজ তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। 

তবে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর আর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ৩৮ বলে ৫০ রান করে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় তাকে। 

সিলেটের আমেরিকান রিক্রুট অ্যারন জোন্স এদিন ঝড় তুলেছিলেন। ক্রিজে এসে তার সঙ্গে যোগ দেন জাকের আলী। দুজন মিলে শেষ ৯ বলে ৩৪ রান তোলেন। এর মধ্যে আকিফ জাভেদের শেষ ওভারেই আসে ২৭ রান। এই ওভারে চারটি ছক্কা আসে, যার তিনটি মারেন জাকের। বাকিটি জোন্সের।

জোন্স ১৯ বলে ১ চার ৪ ছয়ে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। জাকের মাত্র ৫ বলে ৩ ছয়ে ২০ রানের অনবদ্য ক্যামিও খেলেন।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। মেহেদী এবং আকিফ বাকি ২ উইকেট শিকার করেন। আকিফ ৪ ওভারে ৫১ রান দেন। নাহিদ রানা ঝড় থেকে রক্ষা পাননি। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান।

(ঢাকাটাইমস/০৬ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)