চুয়াডাঙ্গায় তৃতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ, কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪০

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মহাদেশীয় বায়ুপ্রবাহের প্রবেশদ্বার খ্যাত এই জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তৃতীয় দফার শৈত্যপ্রবাহ।

বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ।

এসব তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে জেলার ওপর দিয়ে তৃতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা চলতি মৌসুমে জেলায় এবং সারা দেশের মধ্যে ছিল সর্বনিম্ন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড়বাজার চৌরাস্তার মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা আব্দুল ওহাব নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে খুব ঠান্ডা। ভোরে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে। হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই আবহাওয়ার মধ্যে কাজ করা সম্ভব নয়।’

কলিম উদ্দিন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘এক দিন কাজে না এলে বাড়ির চুলায় আগুন জ্বলবে না। বাধ্য হয়েই এই তীব্র শীতের মধ্যে ভোরবেলা কাজে আসতে হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ফ্রিজের মধ্যে আছি। দীর্ঘদিন অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছি। সকালে বাইরে বের হতে মানা করেছেন চিকিৎসক। তবুও পেটের দায়ে বের হয়েছি। তীব্র শীতে লোকজন কম থাকায় উপার্জন কম হচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/এজে)