শর্তের বেড়াজালে ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালের ছয় কোটি টাকার টেন্ডার 

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

শর্তের বেড়াজালে পড়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ছয় কোটি টাকার টেন্ডারে অংশ নিতে পারছেন না সাধারণ ঠিকাদাররা। এ নিয়ে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন। এমএস এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মৌসুমি আক্তার মিথিলা বাদী হয়ে আইনি নোটিশটি পাঠান।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শর্ত আরোপ করে তার পছন্দের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য দেনদরবার প্রায় চূড়ান্ত করেছেন।
জানা গেছে, ২৫০ শয্যা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য রোগীদের ওষুধ, যন্ত্রপাতি, ব্যান্ডেজ গজ কাপড়, লিনেন কাপড়, কেমিক্যাল ও আসবাপত্র সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু সেখানে বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়। 
ঠিকাদাররা দাবি করছেন, এসব শর্ত দেওয়া হয়েছে যাতে সাধারণ ঠিকাদাররা এই কাজে অংশ নিতে না পারেন। এমনকি  হাসপাতালের তত্ত্ব¡াবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তার পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে হাসপাতালের ই-টেন্ডারের গোপন পাসওয়ার্ড দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
মাগুরার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামুন ড্রাগসের মালিক আজিজুল হক অভিযোগ করেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক যে শর্ত দিয়েছেন, তা বিগত দিনে বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে দেওয়া হয়নি। শর্ত অনুযায়ী ৯৬টি আইটেমের স্যাম্পল দিতে হবে। কিন্তু এই স্যাম্পল নিতে ৫-৬ লাখ টাকা খরচ হবে। যদি কাজ না পাওয়াযায় তাহলে পরবর্তীতে কোম্পানি থেকে নেওয়া ওই স্যাম্পল ফেরত নেবে না। ফলে এই কাজে আমরা অংশ নিতেও পারছি না।’ 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রাজশাহীর টোটন এন্টারপ্রাইজকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছেন। এ ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেনের সন্দেহ করছেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও হিসাবরক্ষক ফেরদৌস হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মিথিলা ইসলাম জানান, ‘ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো দায়দায়িত্ব নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/মোআ)