আখাউড়ায় কৃষিজমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৩ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০১

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একাধিক চক্র। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ধরখার-উজানিসার সেতুর পূর্ব পশ্চিম পাশের কৃষিজমি থেকে প্রতি রাতে ৪০-৫০টি ড্রামট্রাক সাত-আটবার মাটি নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত মাটি কাটা হয়। 

মঙ্গলবার রাতে মাটি কাটার সময় মাটিভর্তি পাঁচটি ড্রামট্রাক এবং এক্সভেটরের ব্যাটারি জব্ধ করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ট্রাকচালকদেরও আটক করা হয়।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি এই অভিযান পরিচালনা করেন। তবে মাটি কাটার মূল হোতাকে আটক করা যায়নি।

জব্ধকৃত ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। ট্রাকের মালিক না পাওয়া গেলে নিলামে বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায়ই কৃষিজমির মাটি কাটার অভিযোগ আসছিল। বিশেষ করে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে বেশি মাটি কাটা হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে ড্রামট্রাক দিয়ে নিয়ে যায়। এসব সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত ধরখার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ধরখার-উজানিসার সেতুর পূর্ব পশ্চিম পাশের কৃষিজমি থেকে মাটির কাটার সময় মাটিভর্তি ৫টি ড্রামট্রাক চালকসহ জব্ধ করা হয়। ট্রাকচালকরা বেতনভুক্ত কর্মচারী হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

একটি সূত্র জানায়, ধরখার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র রাতের আঁধারে কৃষিজমি থেকে এক্সভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে বড় বড় ড্রামট্রাকে কুমিল্লার বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে। প্রতি রাতে ৪০-৫০টি ড্রামট্রাক সাত-আটবার মাটি নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত মাটি কাটা হয়।

ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভিন রুহি বলেন, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা হলে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সাজা দেওয়ার বিধান আছে বালুমহাল মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে। ট্রাকচালকরা জানান, তারা মাটি কাটার মূল ব্যক্তিকে চেনেন না। বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে মাটি নিতে এসেছে। তারা বেতনভুক্ত কর্মচারী হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাকগুলো নিতে এলে মাটি কাটার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের জরিমানা করা হবে জানিয়ে ইউএনও বলেন, নয়তো জব্ধকৃত ট্রাকগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে। অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/মোআ)