ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পুনর্গঠনে প্রয়োজন ১০ বিলিয়ন

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৭

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

ভেঙে পড়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরে এ অবস্থার পুনর্গঠনে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ডলার বা আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রাথমিক হিসেবে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গাজা থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে অনেক বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হতে পারে।’

তিনি বলেছেন, ‘গাজার শুধুমাত্র স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠনের জন্য তার দলের প্রাথমিক অনুমান হলো প্রথম দেড় বছরের জন্য ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং তারপর পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।’

পিপারকর্ন বলেছেন, ‘আমরা সবাই ভালো করে জানি যে গাজার ধ্বংসযজ্ঞ অকল্পনীয়। আমি আমার জীবনে বিশ্বের অন্য কোথাও এমন পরিস্থিতি দেখিনি।’

এদিকে ডব্লিওএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস এরই মধ্যে বলেছেন, ‘গাজার ৯০ শতাংশ হাসপাতাল ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।’ বুধবার মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাস অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। যাকে তিনি ‘সেরা খবর’ বলে উল্লেখ করেন।

গেব্রিয়াসিস আশা প্রকাশ করেছেন, এই চুক্তি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে। তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই এই খবরকে অত্যন্ত স্বস্তির সঙ্গে স্বাগত জানাই। কিন্তু দুঃখও আছে যে, চুক্তিটি এতো দেরিতে হতে যাচ্ছে যখন সংঘর্ষে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছেন।

মধ্যস্থতাকারীরা যদিও বলেছেন, চুক্তিটি ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। টানা ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে ইসরাইলের হামলা।

এরই মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৪৬ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এজে)