রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের মানববন্ধন 

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
সোমবার সকালে কলেজের মূল ফটকে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নানা রকমে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মূলক স্লোগান দিতে থাকেন। 
মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে সকল শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে নতুন কারিকুলাম নিয়ে পড়তে শুরু করে, আগস্টের অভ্যুত্থানের পরে সরকার বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার ঘোষণা দিলে একই বছর দুটি কারিকুলাম নিয়ে বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় কলেজের সদ্য বিদায় নেওয়া অধ্যক্ষ একটি এমটি পরীক্ষার মাধ্যমে সায়েন্স ও কমার্স বিভাগ বিভাজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে মোতাবেক সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে অক্টোবর ২০২৪ এমটির ফলাফল অনুযায়ী পছন্দের বিভাগ নির্বাচন ও রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়।

শিক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে এবং প্রাপ্ত বিভাগ অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। মাত্র ২২ কার্যদিবস ক্লাস করার পর ১০০ মার্কের বার্ষিক পরীক্ষা হয়, যে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পত্রের ধরণ সম্বন্ধে বুঝতে অনেকেই হিমশিম খায়, তথাপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কনভার্ট মার্ক ছাড়া ও কনভার্ট মার্কসহ পাশকৃত বা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দনীয় বিভাগে পড়তে না দিয়ে জোর পূর্বক কমার্স (ব্যবসা শিক্ষা) চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

যদিও পূর্ববর্তী ঘোষণা অনুযায়ী (পূর্ববর্তী অধ্যক্ষের)  বার্ষিক পরীক্ষা কোন ভাবেই বিভাগ নির্ধারণের মানদণ্ড হতে পারেনা, কারণ আগেই এম টি পরীক্ষার মাধ্যমে বিভাগ নির্ধারিত হয়েছিল। এছাড়া কলেজের দিবা শাখার বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে কোন ব্যবসা শিক্ষার বিভাগ ছিল না। এখন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বাণিজ্য বিভাগে (ব্যবসা শিক্ষা) পাঠিয়ে দিয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির পাঁয়তারা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ, যা কোটি টাকা ভর্তি বাণিজ্য ছাড়া আর কিছুই না।

এমতাবস্থায় শিক্ষাবোর্ড ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার ব্যবস্থা করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান অভিভাবকরা ।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/টিএ/এমআর)