সেতু যেন মরণফাঁদ

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫০

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সিডরের ১৭ বছর পার হলেও বিধ্বস্ত সেতুর সংস্কার হয়নি। সেতুটি উপজেলার গোলবুনিয়া ও জানখালী গ্রামের সীমান্তবর্তী সাংরাইল খালের ওপর নির্মিত হয়। বর্তমানে সংযোগ সেতুটির বেহাল অবস্থা। অথচ সংস্কারের অভাবে সেতুটি এখন চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শুধু দাঁড়িয়ে আছে সেতুর কঙ্কাল। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে কঙ্কাল সেতু। লোহার সেতুর পাটাতনের স্ল্যাবগুলো এক যুগ আগে ভেঙে গেলেও দেখার কেউ নেই। লোহার কঙ্কাল বিমের ওপর সুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হচ্ছেন ছয় গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ। এ যেন সেতু নয়, সেতুর কঙ্কাল। এটি এখন মরণফাঁদ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর আগে সাংরাইল খালের ওপর লোহার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালের নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ পড়ে সেতুটির পাটাতন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে পাটাতনের রড ও সিমেন্টের তৈরি স্ল্যাবগুলো ভেঙে যেতে থাকে। ১৭ বছর আগে সেতুটির স্ল্যাবগুলো ভেঙে যাওয়ায় সুপারি গাছ বিমের ওপর দেওয়া হয়। মেরামত না হওয়ায় এভাবেই লোকজন চলাচল করে আসছে।

স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোনো ফল মেলেনি। নিরুপায় হয়ে সেতুর ওপর এক পাশে সুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হযেছে। শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে সেতুটি পার হতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। সেতু  থেকে পড়ে এক শিশু ও বৃদ্ধ মহিলা আহত হন। তাছাড়া কৃষিনির্ভর এ এলাকার মানুষ কৃষিপণ্য ঘাড়ে-মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে সেতুটি উপজেলা পরিষদ নির্মাণ করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়ে মঠবাড়িয়ার জরাজীর্ণ সেতু তালিকা চেয়েছে। সেগুলো আমরা পাঠিয়েছি। উপজেলা ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়কের সেতু নির্মাণ প্রকল্প ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) তালিকা পাঠানো হয়েছে। যদি অনুমোদন হয়ে তালিকায় আসে তাহলে আরসিসি সেতু নির্মাণ করা হবে।

 

(ঢাকা টাইমস/২৬জানুয়ারি/এসএ)