দরিদ্র মানুষকে শোষণ গণতান্ত্রিক দেশের আইন হতে পারে না: মঈন খান
প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৫২ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিআইডব্লিউটিএ'র দুর্নীতি ও দরিদ্র মানুষের ওপর জুলুম দেশের জন্য কলঙ্কজনক।
তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ঘোড়াশাল-পলাশে দরিদ্র মানুষের জীবিকা ধ্বংস করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে। এটি কোনো আইনের মধ্যে পড়ে না। দরিদ্র মানুষের ওপর এমন শোষণ-অত্যাচার কোনো গণতান্ত্রিক দেশের আইন হতে পারে না।
রবিবার সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল সাদ্দাম বাজারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ’র) অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে বলতে বাধ্য হয়েছি, বিআইডব্লিউটিএ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের জলাভূমি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, দুর্নীতি করেছে। আজ তারা ঘোড়াশালে গরিব মানুষের ওপর আইন দেখিয়ে উচ্ছেদ করেছে। ড. মঈন প্রশ্ন রাখেন, গরীব ওপর উচ্ছেদের নামে জুলুম কোন ধরনের আইন?
বিআইডব্লিউটিএর দুর্নীতি সাধারন মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই সাবেক মন্ত্রী বলেন, গরীব মানুষের কাছে থেকে ঘুষ না পেয়ে উচ্ছেদ অভিযানের নামে জুলুম করেছে। আজকে গরিবরা তাদেরকে ঘুষ দিলে বুলডোজার ফিরিয়ে নিয়ে যেতো।
বিআইডব্লিওকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ অঞ্চলের উচ্ছেদের নামে জন মানুষের ওপর অত্যাচার করে বর্তমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা মানুষের মনে স্থাপন করতে চাই যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মানুষদের প্রতি অত্যাচার করা হয়। আজকে ৮ শত গরিবের স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, যেখানে তাদের ওপর প্রায় ১০ হাজার মানুষ নির্ভর করে।
তিনি বলেন, স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে এড়িয়ে গিয়ে ঢাকা থেকে দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসন দিয়ে স্থাপনা গুলো উচ্ছেদের মাধ্যমে গরিবের পেটে লাথি মেরেছে, তাদের সৎপথে বেঁচে থাকার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে বিআইডব্লিউটিএ শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দিনব্যাপী অভিযান চালায়। অভিযানে প্রায় ৩০০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
ড. মঈন খান আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত বিআইডব্লিউটিএ ঘুষ না পেয়ে দরিদ্র মানুষকে উচ্ছেদ করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম দেশের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি বর্তমান সরকারকে জনগণের সঙ্গে আরও দূরে সরিয়ে দেবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিআইডব্লির বন্দর পরিচালক এ, কে, এম, আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/জেবি/এমআর)