আবারও চেক বাউন্সের শিকার ক্রিকেটাররা, দুর্নামে দুর্বার রাজশাহী
প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল মানেই যেনো নিত্য নতুন নাটকের কারখানা। তবে চলতি বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী আগের সব আসরের নাটকীয়তার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। । আসর শুরুর আগে থেকে অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
পারিশ্রমিক ইস্যুতে চলমান রয়েছে দুর্বার রাজশাহীর নাটক। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বেই রাজশাহী বিতর্ক সামনে উঠে আসে। ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামে তাদের প্রথম ম্যাচের এক দিন আগে খেলোয়াড়েরা প্রতিশ্রুত প্রথম ২৫ শতাংশ টাকা না পাওয়ার প্রতিবাদে অনুশীলন করেননি।
চট্টগ্রামে যে হোটেলে থেকেছেন, সেখানেও হয়েছে ঝামেলা। এরপর ঢাকায় ফিরে খেলা প্রথম ম্যাচে তো পাওনা না পেয়ে কোনো বিদেশি ক্রিকেটার মাঠেই নামেননি।
এসবের মাঝে ক্রিকেটারদের হাতে চেক তুলে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক পক্ষ। চেকের ছবি হাতে পেয়ে সতীর্থদের নিয়ে সেলফি তুলে রাজশাহীর সাবেক অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘অল ইজ ওয়েল, লে ঘিরে লে।’
আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়েও অর্থ পরিশোধ না করায় মাঠে যাননি ক্রিকেটাররা। বিপিএল ইতিহাসে যা ঘটেছে প্রথমবার। ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ অনুমোদনে শুধু মাত্র লোকাল ক্রিকেটারদের দিয়েই ম্যাচ খেলে রাজশাহী। যদিও সেই ম্যাচে আসরের সবচেয়ে সফল দল রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েছে পদ্মা পাড়ের দলটি।
ওই ম্যাচ শেষে রাজশাহীর ‘নতুন’ অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ মজার ছলে বলেছিলেন, ‘মিরপুরের উইকেটের মতো চেক বাউন্স করলে ক্রিকেটারদের বিপদ হবে।’ ডানহাতি পেসারের এমন কথা বলার একদিন পরই আবারও চেক বাউন্স করল রাজশাহীর ক্রিকেটারদের।
জানা গেছে, রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ম্যাচের আগে লোকাল ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ব্যাংক চেক দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পরদিন সোমবার সেই চেক ডিপোজিট করতে গিয়ে আবারো প্রতারিত হয়েছেন ক্রিকেটাররা। অ্যাকাউন্টে চেকের পরিমাণ অর্থ না থাকায় শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহীর এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ‘আমরা ব্যাংক চেক ব্যাংকে দেয়ার পর আবার বাউন্স করেছে। সবার চেকই বাউন্স করেছে। মালিক পক্ষ বলেছে পরবর্তী ম্যাচের আগে সবার টাকা ক্লিয়ার করে দেয়া হবে।’
শুধু ক্রিকেটারদের অর্থই নয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে হোটেল বিলও পরিশোধ করতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যার কারণে ঢাকায় একটি হোটেলে উঠার পরও ম্যাচের দিন সকালে বদল করতে হয় হোটেল।
এমন পরিস্থিতিতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে বিপিএল আয়োজনের দায়িত্ব দেয়ায় বোর্ড ও পড়েছে সমালোচনার মুখে। এবারের বিপিএলে বোর্ড বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নিলেও এই এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কারণে ম্লান হয়েছে বোর্ডের প্রশংসনীয় কাজগুলো।
(ঢাকাটাইমস/২৮ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)