তিতুমীর কলেজ: গুলশান লিংক রোড অবরোধ, ষষ্ঠ দিনে গড়াল অনশন
প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫১

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষার্থীর অনশন ষষ্ঠ দিনে গড়াল। অপরদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কলেজটির শিক্ষার্থীরা গুলশান লিংক রোড অবরোধ করেছেন।
সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সড়কের ওপর বাঁশ ফেলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী যানচলাচল বন্ধ করে দেন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে লিংক রোডের উভয় পাশের সড়কের যান চলাচল।
এর আগে রবিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার সকাল থেকে কলেজ শাটডাউন ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমতলী, মহাখালী এবং গুলশান লিংক রোড অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রবিবার রাত ১১টার দিকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সোমবারের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগে আমাদের আন্দোলন শিথিল করা হলেও এবার তা করা হবে না।
এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো– তিতুমীর কলেজকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করা, শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার এবং আইন উপদেষ্টার ক্ষমা প্রার্থনা।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে রবিবার টানা পঞ্চম দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। গত শুক্রবার ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। রবিবার সন্ধ্যায় তারা মহাখালীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে এ সড়কে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ রুটের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে রবিবার দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি অযৌক্তিক। তাদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনাও করা হচ্ছে না। সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। সেটা নিয়ে কাজ চলছে। আলটিমেটাম দিয়ে সরকারের কাছ থেকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আদায় করা যাবে না। তিতুমীর কলেজকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে হলে অনেক ঐতিহ্যবাহী কলেজ আছে, সেগুলোকে বিবেচনা করা উচিত। উদাহরণ হিসেবে রাজশাহী কলেজ, খুলনা বিএল কলেজ, বরিশাল বিএম কলেজের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা ব্রিফিং করে ঘোষণা দেন, এখন থেকেই সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি হবে। এর পরই তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আমতলী মোড়ে গিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে রাত ৮টার পর তারা অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিল করতে করতে ক্যাম্পাসে ফিরে যান। প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময়ের ওই অবরোধে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
(ঢাকাটাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/এফএ)