ইতালিয়ান নাগরিকের ছিনতাই হওয়া পাসপোর্ট, ফোন ও মালামাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

রাজধানীর তুরাগে ইতালিয়ান নাগরিকের ছিনতাই হওয়া পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন, টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. খোরশেদ আলম (২৮) ও মো. শাহিন মিয়া (২২)।

 

রবিবার তুরাগ থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকৃত মালামালসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।

 

ডিসি রওনক বলেন, “ছিনতাইয়ের ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ইতালিয়ান নাগরিকের পাসপোর্ট, টাকাসহ সব মালামাল উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

 

তিনি জানান, গত রবিবার ভোর ৪টার দিকে ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর ইতালি থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। তিনি বিমানবন্দরের সামনে থেকে একটি উবার মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ১৯নং সেক্টরের প্রবাসী হোস্টেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। মোটরসাইকেল চালক ইতালিয়ান নাগরিককে হোস্টেলে না নিয়ে তুরাগ থানার ১৫নং সেক্টরের ১নং মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন ব্রিজের পাশে নিয়ে যান। সেখানে অপর এক সহযোগীর সহায়তায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তার সঙ্গে থাকা ইতালিয়ান পাসপোর্ট, একটি আইফোন, একটি আইফোনের চার্জার, একটি ম্যাকবুক চার্জার, ইতালিয়ান পরিচয়পত্র, ব্যাংক কার্ড,  সুগন্ধি, ইতালিয়ান বই, নগদ ৫০ ইউরো ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান।

 

এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তুরাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকারী উবার মোটরসাইকেল চালক মো. খোরশেদ আলমকে শনাক্ত করা হয়। এরপর রবিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তুরাগ থানার পাকুরিয়া হাসুর বটতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খোরশেদকে গ্রেপ্তার  করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে তুরাগ থানার পাকুরিয়া এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মো. শাহিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

ডিসি রওনক বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা উবারে মোটরসাইকেল চাোনোর আড়ালে নির্জন জায়গায় নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে যাত্রীদের টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতো বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/এলএম/এফএ)