আ.লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে: ইশরাক

প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আজকে রাষ্ট্রকে সংস্কার বা মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র স্থায়ী কিন্তু সরকার পরিবর্তনযোগ্য। তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের যে ৩১ দফা দিয়েছেন তাতে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো- রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বা কাঠামো তা স্থায়ী করা, যার মাধ্যমে আমরা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে জনগণের কল্যাণে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। আওয়ামী লীগ সরকার নিজে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে। 

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফায় জন সম্পৃক্ততায় এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। 

ইশরাক হোসেন বলেন, দেশের প্রথম সাংবিধানিক সংকট তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১১ সালে কলমের এক খোঁচায় দেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করেছিল। এরপর থেকে দেড় দশক ভুয়া ও ডামি নির্বাচন করে দেশবাসীকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিলো। ৩১ দফায় প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া দুইবারের বেশি কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কারণ একব্যক্তি দুইবারের বেশি ক্ষমতায় থাকলে তার ভিতরে ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচারী ভাব চলে আসে।

তিনি বলেন, ৩১ দফায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সরকার দলীয় সদস্যরা সংসদে ক্ষমতাসীনদের বাইরে ভোট দিতে পারে না। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়ও তারা বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টসহ নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করা হবে। আওয়ামী লীগ যেভাবে ইসিকে দলীয় অঙ্গ সংগঠনের মত ব্যবহার করেছে তা যেন আর কেউ না করতে পারে। ইভিএম মানে ভোট চুরির মেশিন, তা বাতিল করা হবে। এই মেশিনে ভোট দেয় একজায়গায় চলে যায় আরেক জায়গায়। এর ভুক্তভোগী আমি নিজেও ছিলাম।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। ২০০ টাকার বালিশ তিন হাজার, ৫০০ টাকার পর্দা ৩০ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। দশ হাজার কোটি টাকার কাজ ৩০ হাজার কোটি টাকায় করা হয়েছে। এভাবে ব্যাপক দুর্নীতি করে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসলে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স করা হবে। হাসিনার সহযোগী সকল মাফিয়া ব্যবসায়ীর শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে এবং পাচার কৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা হবে। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আলোচনা সভায় অংশ নেন বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদ হারুন, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, হাজী মনির হোসেন চেয়ারম্যান, মকবুল ইসলাম খান টিপু, ফরহাদ হোসেন, শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সবুজ, মহিলা দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আকতার, ছাত্রদল নেতা শামীম মাহমুদ, আবদুর রহিম ভূইয়া প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/জেবি/এমআর)