অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে মানুষ হতাশ: মাইনুল ইসলাম

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

অন্তর্বর্তী সরকারের ৬-৭ মাসের শাসনে দেশের মানুষ হতাশ। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপনে জাতি আরও অন্ধকারে যাচ্ছে। দ্রুত নির্বাচন দিন। যত দেরি করবেন তত কলঙ্ক মাখবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদলে নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ এ সমাবেশের আয়োজন করে। 

মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ সরকারের পলায়নের পরে বাংলাদেশের মানুষ একটি রাজনৈতিক, আইন-বিচারের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ৬-৭ মাসের শাসনব্যবস্থায় দেশের মানুষ আবার হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনি আসলে কী চান, তা স্পষ্ট করে জাতির সামনে প্রকাশ করুন। আপনার আলোচনা, কার্যক্রমে জাতি বিভ্রান্ত হচ্ছে। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপনে জাতি আরও পিছিয়ে যাচ্ছে, অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আপনার কাছে জানতে চায়, আপনি কবে নির্বাচন দিবেন? সেই রোডম্যাপ দেন। জাতিকে আশ্বস্ত করেন। ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বহাল তবিয়তে, তারাই দেশ চালাচ্ছে। আপনি তাদের সরাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছেন না। আপনি কি করতে চান দেশের মানুষ বুঝে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা জুলাই-আগস্টের আন্দোলন অস্বীকার করতে চাই না। কিন্তু একাত্তরের যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে (বীরউত্তম) যদি অস্বীকার করতে চান, তার দেশপ্রেম, কার্যক্রম, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক মানসকে অস্বীকারের পাঁয়তারা করতে চান, বাংলাদেশের মানুষ তা মানবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার তাগাদা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি দিবেন দেশ তত তাড়াতাড়ি শৃঙ্খলিত হবে। শান্তি পরায়ণ হবে। যত দেরি করবেন তত কলঙ্ক মাখবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পরও আমাদের নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তোমরা ধৈর্য ধরো। আমরা ধৈর্য ধরেছি। আওয়ামী লীগ বলেছিল, তাদের পতন হলে বাংলাদেশে একরাতে পাঁচ লাখ লোক মারা যাবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। আমরা এখনো ধৈর্য ধরে আছি।’

এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন এবং সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ।

(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/জেবি/এমআর)