লেবাননে বিমান হামলা ইসরায়েলের, নিহত ৬
প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫২

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যে পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার পূর্ব বেকা অঞ্চলের জেন্নাতা শহরের কাছে শারা এলাকা লক্ষ্য করে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে লক্ষ্যবস্তু ছিল হিজবুল্লাহর কর্মীরা, যা কৌশলগত অস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য একটি স্থান’ বলে দাবি করছে ইসরায়েল।
২৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা উল্লেখ করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, “এই স্থানে কার্যকলাপ ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে সমঝোতার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয়।”
চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর স্থাপনাগুলির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।
চুক্তিতে ২৬ জানুয়ারি ৬০ দিনের বাস্তবায়ন সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও ইসরায়েল দক্ষিণ লেবানন থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার বিলম্বিত করেছে। দাবি করেছে যে চুক্তিটি লেবানন দ্বারা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা হয়নি।
যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি অনুসারে, লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে মোতায়েন করবে, যা হিজবুল্লাহ বাহিনীর স্থলাভিষিক্ত হবে।
ইসরায়েল পূর্ব বেকা উপত্যকায়ও একের পর এক আক্রমণ শুরু করেছে, যা সাধারণত হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হয়। ৩১ জানুয়ারী, সিরিয়া সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একাধিক হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার দাবি করে। এতে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়।
হিজবুল্লাহ কর্মকর্তা ইব্রাহিম মুসাউই সেই সময়ে বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছিলেন, এগুলিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক লঙ্ঘন এবং একটি স্পষ্ট এবং স্পষ্ট আগ্রাসন’ বলে অভিহিত এবং লেবাননের প্রতি ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন। সূত্র আল জাজিরা।
(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/এফএ)