নির্বাচনের পর যে দলই ক্ষমতায় আসুক একসঙ্গে কাজ করবো: মির্জা আব্বাস 

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

নির্বাচনের পর যে দলই ক্ষমতায় আসুক আমরা একসঙ্গে কাজ করবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, নির্বাচনের কথা শুনলেই অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। আরে বিএনপিকে এত ভয় কেনো? জনগণ যাকে চায় সেই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। যারা নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করছেন তারা বিএনপিকে ভয় পায়।

সোমবার বিকালে রাজধানীর মতিঝিল থানার আয়োজনে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

২৪ এর গণহত্যার বিচার সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, গণহত্যার বিচার হতেই হবে। যারা গণহত্যা করেছে, যারা লুট করেছে, যারা ছিনতাই করেছে, এদেশে মানুষের অধিকার, কথা বলার অধিকার, এই দেশের মানুষের সম্পদ লুট করেছে, যারা এই দেশের শিশু বাচ্চাদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে, গুলির নির্দেশ দিয়েছে, তারা কেউ যেন বিচারের হাত থেকে রেহাই না পায় সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। তাই বলে এই উছিলা দিয়ে যেনো নির্বাচন থেকে দূরে সরা যাবে না। সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলবে।

আব্বাস বলেন, বাকশাল উঠিয়ে দিয়ে সর্বদলীয় রাজনীতি চালু করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছিলেন। বাকশালের কারণে হাসিনার রাজনীতির কোনো সুযোগ ছিল না। জিয়াউর রহমান হাসিনাকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে ছিলেন। সকল পত্র-পত্রিকা চালু করেছেন, জনগণকে কথা বলার অধিকার এবং ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন মেজর জিয়া। পরে বেগম খালেদা জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করে ছিলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন- সংস্কার ঘোষণা দিয়ে হয় না। ২০২২ সালে আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে যারা দেশকে বিভাজনের মাধ্যমে সংস্কার করতে চান, তাদেরকে বলতে চাই; আমাদের ছোট্ট একটা দেশকে ভাগ করে সংস্কার এদেশের মানুষ কখনোই কামনা না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব তানভীর হাসান রবিনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, তারেক রহমানের বিশেষ উপদেষ্টা ডা. মাহাদী আমিনসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এবং মতিঝিল থানা বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/জেবি/এমআর)