চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, দাবি জেলেনস্কির
প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৭ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৭

রুশ বাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে একটি রাশিয়ান ড্রোন চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ নম্বর রিয়াক্টরের ওপরের সুরক্ষা কাঠামোতে (নিউ সেফ কনফাইনমেন্ট) আঘাত হানে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ড্রোন হামলায় সুরক্ষা কাঠামোটি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে আগুন ধরে যায়, যা পরবর্তীতে নেভানো হয়। এখন পর্যন্ত বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি এবং ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এই আক্রমণকে বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এই সুরক্ষা কাঠামোটি ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি- যারা মানবতার প্রকৃত নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এদিকে জেলেস্কির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ইউক্রেনের বেসামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে কখনো হামলা চালায়নি।
পেসকভ আরও বলেন, ‘রাশিয়া পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করছে এমন যেকোনো দাবিই মূলত মিথ্যা। এই হামলার সম্পর্কে তার (জেলেনস্কি) কাছে কোনও যাচাইকৃত তথ্য নেই, তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি সম্ভবত কিয়েভের সর্বশেষ উস্কানি ও একটি চক্রান্ত কারণ তারা এটাই করতে ভালোবাসে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। তখন ইউরোপের অধিকাংশ এলাকা তেজস্ক্রিয় উপাদানে ঢাকা পড়েছিল। পরে ২০১০ সালে ধ্বংসপ্রাপ্ত চুল্লি ৪ ইউনিটের ধ্বংসাবশেষকে থেকে দূষিত পদার্থ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য সুরক্ষা কাঠামো নির্মিত হয়েছিল, যা নিউ সেফ কনফাইনমেন্ট নামেও পরিচিত। এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক তহবিলে ২.১ বিলিয়ন ইউরো (২.২ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযান শুরুর পরই রুশ সেনারা চেরনোবিল এবং ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়া দখল করে।
সূত্র: আরটি, রয়টার্স
(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/এমআর)