আ.লীগের রাজনীতির মৃত্যু, দাফন হয়েছে দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন
প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৭ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৯

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে আর দাফন করা হয়েছে ভারতের দিল্লিতে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব ও হাসিনার আওয়ামী লীগ এদেশে আর রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা নিজেরা রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। খুন, গুম আর দেশের গণতন্ত্র নষ্ট করে শেষ করে দিছে জনগণকে। হাসিনা এখন বিশ্ব খুনি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা সর্বদক্ষিণের মানুষ চাই।’
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার গোল চত্বর মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
লবণ শিল্পের কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লবণ চাষিদের সঙ্গে নিমকহারামি করবেন না। কক্সবাজারে উৎপাদিত লবণ দিয়ে পুরো দেশের মানুষ চলতে পারে। বিদেশ থেকে লবণ আমদানির দরকার নেই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগেই দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। কিছু উপদেষ্টা জনগণের পালস বুঝে না। তাদের নসিহত করুন, অথবা বিদায় দিন। জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না। গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট অনুযায়ী নিত্য-পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করুন, আইন শৃঙ্খখলা পরিস্থিতির উন্নতিতে নজর দিন। পতিত হাসিনার দোসরদের অস্থিরতার অপচেষ্টা শক্ত হাতে দমন করুন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘অনুপাত-অনুপাত নির্বাচন যারা চান, তাদের রাজনৈতিক অনুপাতের জ্ঞান নেই। স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসায় না। এদেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছে। বৈষম্যহীন জ্ঞানলব্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ছাত্র-জনতা ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এজন্য ভোটবিহীন এই দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সুতরাং জাতীয় সংসদেই নির্ধারিত হবে গণতান্ত্রিক সংস্কারের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও গণতন্ত্র রক্ষার সকল কর্ম।’
জনসভায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান পাকিস্তানের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান রাজনৈতিক মৃত্যুবরণ করেন। আর ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিব নিজেই নিজের কবর রচনা করেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের কবর রচনা করে, আওয়ামী লীগের দাফন কার্য সম্পন্ন করে। এখন আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে। মুর্দা হাসিনা কাফন পরে কথা বলছে দিল্লিতে বসে। পতিত ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা হাসিনা নতুন বাংলাদেশে কাফন পরে কথা বলে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এদেশে মুর্দার কথা বলা জায়েজ নেই।’
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাবেক এমপি আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, সহ-সভাপতি আলহাজ এনামুল হক, মমতাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান ছিদ্দিকী, কক্সবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ রফিকুল হুদা চৌধুরী প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এসএ/এমআর)