ভালো লাগার মানুষকে সামনে এনে অন্যদের ফেলে দেওয়া ইতিহাস নয়: জামায়াতের আমির
প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৪

যার যেখানে জায়গা তাকে সেই স্থান দেওয়াটাই ইতিহাস। ভালো লাগার মানুষকে সামনে তুলে এনে অন্যদের ফেলে দেওয়া ইতিহাস নয়, গল্প। এমনটাই বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আমির।
ইতিহাসের নামে তারা আর কোনো গল্প দেখতে চান না- মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘ইতিহাসটা উঠে আসুক। ইতিহাসে যার যেখানে জায়গা রয়েছে, সেটা অবশ্যই তাকে দিতে হবে। আপনার ভালো লাগুক কিংবা না লাগুক এর নামই ইতিহাস। যদি ভালো লাগার মানুষকে সামনে নিয়ে আসেন, আর ভালো না লাগার মানুষকে ফেলে দেন, এটা ইতিহাস নয়, এটা হবে গল্প।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, কিন্তু দায়িত্ব পালন করি না। জনগণ রাষ্ট্র চালায় না, সরকার রাষ্ট্র চালায়। যুগ যুগ ধরে যারা সরকারে ছিলেন, তাদের অবহেলা, উপেক্ষা ও অপরাজনীতির দায় নিতেই হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ইতিহাসের এই অচলায়তন ভেঙে ফেলুন।’
সরকারকে ভাষাশহীদদের পরিবারের কাছে যাওয়ার অনুরোধ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের সম্মানিত করুন। ভাষাশহীদরা ইতিহাস রচনা করেছেন। নিজেদের জীবন দান করেছেন। তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেকে কষ্টে আছেন।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শুধু তাদের গোষ্ঠী ছাড়া দেশের সবার ওপর জুলুম করেছে বলে অভিযোগ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এই জুলুমের শিকার ছিল জামায়াতে ইসলামীও। এই চ্যাপ্টারের অবসান হওয়ার পরে বাংলাদেশে এখন আবার কারও ওপর জুলুম হলে, এটা কি জাতি মেনে নেবে?’
কারাগারে বন্দি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের কথা উল্লেখ করে দলটির আমির বলেন, ‘বিচারের নামে ক্যাঙারু কোর্ট বসিয়ে একে একে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের জুডিশিয়াল মার্ডার করা হয়েছে। একজন বান্দা বেঁচে আছেন। আজকে পটপরিবর্তনের ছয় মাসের বেশি হয়ে গেছে তাকে কেন বন্দী থাকতে হবে?’ এ টি এম আজহারুলকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া না হলে তিনি স্বেচ্ছায় জেলে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি করেন।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবদুল মান্নান, দক্ষিণের নায়েবে আমির হেলাল উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে ভাষার গান পরিবেশন করেন হাসান আল বান্না ও তাওহীদুল ইসলাম।
(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/মোআ)