রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ইউনিক রোড রয়েলস’ নামক চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার থেকে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত এক ভিডিও ক্লিপে বাসটির এক নারী যাত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বাসটির এক নারী যাত্রী বলছেন, ‘বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ এতে দেখা যায়, নারী যাত্রী খোলামেলাভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের বাসে মির্জাপুর এলাকায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ডাকাতি হয়। ডাকাতির সময় দুই নারীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ করার অভিযোগও ওঠে।

এ ঘটনায় ডাকাত কবলিত গাড়িটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে পৌঁছালে ৩-৪ জন যাত্রী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। ডাকাতির ঘটনার সাথে গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপাভাইজার জড়িত রয়েছে- যাত্রীদের এমন অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ তাদের আটক করে।

ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ইউনিক রোড রয়েলস্ পরিবহনের একজন যাত্রী। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ব্যবসায়ী মো. ওমর আলীর (৫০) মামলায় ৮-৯ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এ  মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল সেট, ১টি ছুরি এবং নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া্ সোমবার রাতে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা থানার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে বাস ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার ভাই রাজিব হোসেনকে আশুলিয়া থানার ধানসোনা এলাকার পশ্চিম পলাশবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/এলএম/এমআর)