আবদুল্লাহ আল নোমানকে শেষ বিদায়

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সাংসদ ও দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমানকে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানালেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা।

মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ। 

নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আব্দুল্লাহ আল নোমানের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়। এ সময় বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নেতা কর্মীরা ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। 

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন্ন নবী খান সোহেল ও যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান।

১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/জেবি/এমআর)