সীমান্ত আইন নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা বিজিবি মহাপরিচালকের

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৬ | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫, ১৫:২৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সীমান্ত আইন নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিক।

 

তিনি বলেছেন, “ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তারের পর যথাযথ সম্মান দিয়ে তাদের কাছে আমরা হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে, যদি তারা না করে?”

 

এসময় “সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

 

শনিবার দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। 

 

সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি এক নম্বরে ছিল।”

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে। সেই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদরদপ্তর থেকে শুরু করে সবখানে বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পরে এই ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি, যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ প্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পরে কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়। সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটেও কেউ মারা যেতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।”

“অনুপ্রবেশ হোক আর যাইহোক, হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না” মন্তব্য করে বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, “আরও যদি একটি (হত্যা) করা হয় আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর অবস্থানে যাব।”


ভারতের অভ্যন্তরে যাতে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে সেজন্য বিজিবি চেষ্টা করছে বলেও জানান মহাপচালক।

 

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “কেউ যদি মিয়ানমার সীমান্তে অনুপ্রবেশ না করে, (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। ঝুঁকি থাকলে আমরা তৈরি আছি।”

 

(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/এফএ)