পাকিস্তানে সেনানিবাসে বোমা বিস্ফোরণে ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত
প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৭ | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু সেনানিবাসে সন্ত্রাসীদের আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে শিশু ও মহিলাসহ কমপক্ষে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বড় হামলা নস্যাৎ করে দিয়েছে এবং কমপক্ষে ছয়জন হামলাকারীকে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর জিও নিউজের।
নিরাপত্তা সূত্র আরও জানিয়েছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর সঙ্গে যুক্ত আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা প্রতিরক্ষা বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হওয়ার পর দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি কম্পাউন্ডের সীমানায় নিয়ে যায়, যার ফলে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে বিভিন্ন প্রবেশপথে নিরাপত্তা কর্মীরা ছয় সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয় করে এবং অন্যদের গ্রেপ্তার করে।
সূত্র আরও জানিয়েছে যে, বিস্ফোরণের ফলে কাছের একটি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একটি বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে।
জেলা সদর হাসপাতালের (ডিএইচকিউ) একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিস্ফোরণে চার শিশু এবং দুই মহিলাসহ কমপক্ষে ১৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের একটি ধর্মীয় স্কুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর এই হামলাটি চালানো হলো, যেখানে একই প্রদেশের প্রধান তালেবান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান কর্তৃপক্ষ ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে পাকিস্তানে একই ধরনের হামলা বেড়েছে।
গত জুলাইয়ে হাফিজ গুল বাহাদুর গোষ্ঠী একই ধরনের হামলা চালিয়েছিল। সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটায়, আটজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয় এবং প্রতিশোধমূলক অভিযানে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
ইসলামাবাদভিত্তিক বিশ্লেষণকারী দল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের মতে, গত বছরটি পাকিস্তানের জন্য এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ছিল, যেখানে হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
ইসলামাবাদ কাবুলের শাসকদের বিরুদ্ধে আফগান মাটিতে আশ্রয় নেওয়া জঙ্গিদের নির্মূল করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছে, কারণ তারা পাকিস্তানে আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অভিযোগ তালেবান সরকার অস্বীকার করেছে।
(ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/এফএ)