আলফাডাঙ্গার ভয়ংকর প্রতারক ও মামলাবাজ সিকদার লিটন কারাগারে

প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৬

অনলাইন ডেস্ক

ভয়ংকর প্রতারক ও বিভিন্ন মামলা বাণিজ্যের মূলহোতা সিকদার লিটনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা থানার একটি মামলায় তাকে আদালতে তোলা হয়।

এদিন ফরিদপুর ৯ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন সুলতানা সুমি আসামি সিকদার লিটনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের জিআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার পল্লবী ও কলাবাগান থানায় সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এছাড়া আলফাডাঙ্গা থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলার আসামি সে। আদালত লিটনকে সি ডব্লিউ মূলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে বুধবার দুপুরে ফরিদপুর শহর থেকে সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে আলফাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে ১৩টির বেশি মামলা রয়েছে। পুলিশ তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’ 

আলফাডাঙ্গা থানায় থাকা বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় সিকদার লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান ওসি হারুন অর রশিদ।

এদিকে সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তারের খবরে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও করেছেন তারা।

এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয় সিকদার লিটন। এরপর প্রায় চার বছর কারাগারে ছিল। আগেও বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি ছিল সে। 

আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই প্রতারক কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শুরু করেছিল মামলা বাণিজ্য। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, স্বনামধন্য ব্যক্তিকে মামলার ভয় দেখিয়ে নিয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ। সর্বশেষ তিন মাসে তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে সাড়ে ২২ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। যার বেশির ভাগ অর্থই মামলার ভয় দেখি উপার্জন করা।

এদিকে লিটনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘঠিত একটি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলাও রয়েছে ভয়ংকর এই প্রতারকের বিরুদ্ধে।

(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/এসএস/এজে)