বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ছিনতাই: গ্রেপ্তার ৬, স্বর্ণ ও অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৫, ১৭:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনায়  ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার এবং  জব্ধ করা হয় অবৈধ অস্ত্র ও মোটরসাইকেল।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. কাউছার (৩১), মো. ফরহাদ (৬৪), মো. খলিলুর রহমান (৫০), মো. সুমন (৩০), দুলাল চৌধুরী (৪৩) আমিনুল (৩৫)

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

এর আগে শুক্রবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি কমিশনার জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বনশ্রীর ঘটনার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ ওই ডাকাতদের গ্রেপ্তারের  জন্য কাজ শুরু করে। পূর্বাপর বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনা বিশ্লেষণ, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বরিশাল থেকে একজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার দেয়া তথ্যমতে ডিবির চারটি আভিযানিক দল নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজধানী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর মাদারীপুরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ডাকাতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

রামপুরা থানাধীন সি ব্লকের নম্বর রোডের অলংকার জুয়েলার্সের মালিক আনোয়ার হোসেন দোকান বন্ধ করে দোকানের ১৬০ ভরি স্বর্ণ যার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি ৪৭ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা নগদ এক লাখ টাকাসহ বাসায় ফিরছিলেন। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি বনশ্রী ডি ব্লকের নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির নিজ ভাড়া বাসার গেইটের সামনে পৌঁছামাত্র তিনটি মোটরসাইকেলে করে / জন দৃষ্কৃতকারী আগ্নেয়াস্ত্র চাপাতিসহ তার গতিরোধ করে।

এ সময় তার কাছে থাকা স্বর্ণ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় আনোয়ার হোসেন বাধা দিলে দৃষ্কৃতকারীরা তাকে -৫টি গুলি করে, যা তার বাম হাঁটু বাম পায়ের উরুতে বিদ্ধ হয়। দৃষ্কৃতকারীরা তাদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়েও আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

এরপর ডাকাতরা আনোয়ারের সাথে থাকা সাইড ব্যাগে রক্ষিত স্বর্ণ নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেনকে রামপুরার স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরদিন আনোয়ারের স্ত্রী বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন।

(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/এলএম/মোআ)