ইউক্রেনের সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পুতিন
প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০২৫, ২২:৫৬ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১৬:৩৪

ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এই ধরনের যুদ্ধবিরতি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মস্কোতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে সমর্থন জানান পুতিন।
তিনি বলেন, ‘ মস্কো ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে’ যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত, তবে আমরা আরও নিশ্চয়তা চাই যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইউক্রেন কোনও সৈন্য সমাবেশ করবে না, সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে না এবং অস্ত্র পাবে না।’
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ান পক্ষ কেবল তখনই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করবে যদি এটি ‘দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দিকে পরিচালিত করে এবং এই সংকটের প্রাথমিক কারণগুলো চিহ্নিত করে এবং এটির বিস্তারিত আরও জানতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ‘সঠিক’ বলে উল্লেখ করে বিষয়টিতে ‘এত মনোযোগ দেওয়ার’ জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন।
এরআগে মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের পর রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইউক্রেন।
সেসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার কাছে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবেন এবং (পরবর্তী সিদ্ধান্তের ব্যাপারে) “বল এখন তাদের কোর্টে”।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “ইতিবাচক” প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য রাশিয়াকে রাজি করানোর কাজটা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে দুপক্ষের কয়েক লাখ মানুষ হতাহত হয়েছেন। এছাড়া ৮০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছে এবং আরও লক্ষাধিক মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়। বর্তমানে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের প্রায় ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে মস্কো।
সূত্র: আরটি, আনাদোলু
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এমআর)