যশোরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৮:৪৪

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বিগত সরকারের সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশ দেন যশোরের সিনিয়র জেলা দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম।

একই দিন পৃথক আরেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের আয়করের মূল নথি জব্দের নির্দেশ দেন বিচারক। খুলনা কর অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার অব ট্যাক্সেস সার্কেল- যশোরকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন দুদুকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। 

আদালত সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়স্বপন ভট্টচার্য্য ও তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়াও ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য গোপন করার জন্য রূপান্তর, হস্তান্তর স্থানান্তর করে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য।

এই মামলার তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন ভট্টাচার্য্য তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানান। বিচারক তা মঞ্জুর করেন। 

একই দিন আরও একটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় স্বপন ভট্টাচার্য্যকে আসামি করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, দুই কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে স্বপন ভট্টাচার্য্যের। এছাড়া নিজের নামে ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। দুর্নীতি ঘুষ নেওয়ার মাধ্যমে পাওয়া অর্থ গোপন করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর হস্তান্তর করে তিনি মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/মোআ)