ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও বাংলাদেশ থেকে নেপাল-ভুটানে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: জয়সওয়াল

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২২:১৩ | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২২:১৭

অনলাইন ডেস্ক

ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়া ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে মোদি সরকার। তবে এ সিদ্ধান্ত ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

বুধবার নয়াদিল্লিতে নিয়মিত সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের এই সুবিধা বাতিলের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। 

জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে চালু থাকা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে আমাদের বিমানবন্দর ও বন্দরগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে উল্লেখযোগ্য যানজট তৈরি হয়েছিল। লজিস্টিক বিলম্ব ও উচ্চ ব্যয় আমাদের নিজস্ব রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করছিল। অনেক সময় আটকে যাচ্ছিল। তাই ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এ সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপগুলি ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলবে না।’

এরআগে মঙ্গলবার ২০২০ সালে দেওয়া বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। সোমবার (৮ এপ্রিল) জারি করা ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ডের (সিবিআইসি) এক সার্কুলারে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , ‘২০২০ সালের ২৯ জুনে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে যে সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছিল- তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। তবে আগের সার্কুলারের প্রক্রিয়া অনুযায়ী ইতোমধ্যে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশি কার্গোকে ভারতীয় অঞ্চল ত্যাগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।’

মূলত, ২০২০ সালের সার্কুলারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার রপ্তানি পণ্য ভারতের স্থল কাস্টমস স্টেশন এলসিএস ব্যবহার করে ভারতের সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর হয়ে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো তৃতীয় দেশে পাঠাতে পারত। এর আওতায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের খরচ ও সময় অনেক কমে আসত। ​

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/এমআর)