বিভেদ কমিয়ে সমঝোতায় না পৌঁছালে সবকিছুতেই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে: মঞ্জু

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বিএনপি, গণঅভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দল সমূহ ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে পরস্পর বিভেদ কমিয়ে সমঝোতায় না পৌঁছালে সংস্কার, ফ্যাসিবাদের বিচার ও নির্বাচন সবকিছুতেই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

শনিবার দলের নিয়মিত জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিলের সভায় সূচনা বক্তব্যকালে দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এ উদ্বেগের কথা জানান। 

এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, জাতীয় নির্বাচন ও দলের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব‍্য রাখেন- দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, জাহাঙ্গীর কাসেম, বিএম নাজমুল হক, লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ও লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন। 

সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জু বলেন, বিএনপি বলছে নির্বাচনের কাট অফ টাইম চলতি বছরের ডিসেম্বর, সরকার বলছে পরবর্তী বছরের জুন আর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মত হচ্ছে দৃশ্যমান সংস্কার ও বিচারের পরই নির্বাচন। এই তিন মতের মাঝে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতাপূর্বক একটি গ্রহণযোগ্য ঐকমত্যে না পৌঁছালে যে অনিশ্চয়তা ও সংশয় তৈরি হবে তা দেশের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণ বয়ে আনবে না। 

জনগণের একটা অংশ প্রফেসর ইউনুসকে পাঁচ বছরের জন্য চাই’ বা ‘মার্চ ফর ইউনুস’ জাতীয় কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সরকার যদি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটাতে পারে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের লোড শেডিং সহনীয় মাত্রায় রাখে আর অর্থনীতিতে দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটাতে পারে তাহলে রাজনীতির বাইরে সরকারের পক্ষে একটা জনমত তৈরি হয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক পক্ষ আর অরাজনৈতিক পক্ষ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেলে সেটা কারও জন‍্য শুভ ফল বয়ে আনবে না। 

মঞ্জু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি সুশাসন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে এবং সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে অযথা দীর্ঘসূত্রিতার আশ্রয় নেয় তাহলে বর্তমান রিজিম ১/১১ সরকারের পরিণতি ভোগ করলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। 

সভায় সারাদেশের সাংগঠনিক কার্যক্রম তুলে ধরেন পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (দপ্তর) আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা। অর্থনৈতিক আয় ব্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অর্থ) আমিনুল ইসলাম এফসিএ।

জাতীয় নির্বাহী পরিষদের নিয়মিত সভায় পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/জেবি/এমআর)