অন্যের বাগানের আম চুরি করল ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকরা, থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
প্রকাশ | ২৩ মে ২০২৫, ২৩:৩৫ | আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:০৪

আওয়ামী লীগ আমলের সুবিধাভোগী শিল্পগোষ্ঠী ইউনাইটেড গ্রুপের কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এবার আম চুরির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম- অনিক দাস।
শুক্রবার বাড্ডা থানা পুলিশের একাধিক সূত্র ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলছে, বাড্ডা থানা এলাকায় ইউনাইটেড গ্রুপের এতদিনের অংশীদার ফরিদুর রহমান খানের বাসায় প্রবেশ করে তার গাছের আম চুরি করে নিয়ে আসেন ইউনাইটেড গ্রুপের সদস্যরা। গাছ থেকে আম চুরির অভিযোগে গত ১৯ মে বাড্ডা থানায় মামলা করেন ওই আম বাগানের মালিকানা দাবি করা আরেকটি পক্ষ। মামলার পর পুলিশ অনিক দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের ওই সূত্রটি জানায়, মূলত ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকানা ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ওই আম গাছ দুপক্ষই নিজেদের বলে দাবি করছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকপক্ষ ওই জমির আম পেরে নিয়ে যায়।
এদিকে বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট, তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে পৃষ্ঠপোষকতা এমনকি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার আসামি- এমন বিস্তর কালিমা লেপটে আছে আওয়ামী লীগ আমলে বড় সুবিধাভোগী শিল্পগোষ্ঠী ইউনাইটেড গ্রুপের কর্তাদের গায়ে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের এমন নানা প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগে আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ইউনাইটেড গ্রুপের কর্তারা।
খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ ও ইউনাইটেডের হাসান রাজার বিয়াই
ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের বাড়ি থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দুল মুবীন। তিনি সম্পর্কে ইউনাইটেড গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা হাসান মাহমুদ রাজার বেয়াই। মুবীন পরে ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের চেয়ারম্যান হন।
জেনারেল মুবীন আওয়ামী লীগ আমলে ইউনাইটেডের হয়ে বিভিন্ন তদবির নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ঘুরে বেড়াতেন। তার মাধ্যমেই নামমাত্র মূল্যে হাসিনা সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র কিনে গ্যাসভিত্তিক দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করে ইউনাইটেড। তাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাজারে বিক্রির অনুমতি না থাকলেও তা এখনো অব্যাহত আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা টাইমসকে বলেন, “ইউনাইটেড গ্রুপ গত সরকারের আমলে নানাভাবে সুবিধাভোগী। তারা কৌশলে সরকারের পাওয়ার প্লান্ট কিনে নিয়েছে। ওই সরকারের নানা দুর্নীতির সঙ্গেও তারা জড়িত।”
তৎকালীন বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, “কীভাবে ইউনাইটেড কম দামে গ্যাস পেল বুঝতে পারি না। তারা আমাদের কাছে আবেদন নিয়ে এলে আমরা তা নাকচ করে দেই। পরে রিভিউয়ের আবেদন করলে সেটাও নাকচ হয়ে যায়। এরপর উচ্চ আদালতে গেলে সেখানেও তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।”
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা টাইমসকে বলেন, “তখন বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা নিতে প্রায়ই কমিশনে আসতেন ইউনাইটেড পাওয়ারের বর্তমান চেয়ারম্যান জেনারেল আব্দুল মুবীন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা থাকতেন। তারা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হুমকি-ধমকি দিতেন। কিন্তু তাদের চোখরাঙানি আর বন্দুকের নল উপেক্ষা করে কমিশন। এরপরও ইউনাইটেড পাওয়ার কীভাবে নিয়মবহির্ভূত সুবিধার অনুমতি পেল সেটা বের করা উচিত বর্তমান সরকারের।”
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় অস্বীকৃতি: কী বলেন বিএনপির নেতারা
গত বছরের ২১ জুন হঠাৎ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীর গুরুতর খারাপ হলে তার চিকিৎসকরা জরুরি ইনজেকশন ও অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা চান ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে। কিন্তু সহায়তা দেয়নি হাসপাতালটি। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারকে খুশি করতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়নি বলে তখন অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
ইউনাইটেডের এই অমানবিক আচরণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বয়কটের পাশাপাশি বিচারও দাবি করেন। এ ছাড়া ইউনাইটেডের দুর্নীতির প্রসঙ্গও তোলেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা টাইমসকে বলেন, “ইউনাইটেড গ্রুপের এমন আচরণের পর থেকে আজ পর্যন্ত সেখানে কখনো চিকিৎসা নিইনি; ভবিষ্যতেও কোনো দিন নেব না।”
তিনি আরও বলেন, “ইউনাইটেড গ্রুপ গত সরকারের আমলে নানাভাবে সুবিধাভোগী। তারা কৌশলে সরকারের পাওয়ার প্লান্ট কিনে নিয়েছে। ওই সরকারের নানা দুর্নীতির সঙ্গেও তারা জড়িত।”
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলেন, “কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স, ইনজেকশন, ওষুধ চাইলে কোনো হাসপাতালের তা প্রত্যাখ্যান করা চরম অমানবিকতা ও নির্মমতার প্রকাশ। রাজনীতি অন্য বিষয়, কিন্তু মানবিক দিক থেকে তারা অবহেলার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে।”
তিনি বলেন, “একটা দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেতা ও বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসনকে তার অসুস্থতায় ওষুধপত্র ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়নি—যারা এসব ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল, যারা অগণতান্ত্রিক কাজে সরকারকে সহায়তা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত।”
শেখ হাসিনার বেআইনি আদেশে ইউনাইটেডকে কম দামে গ্যাস ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইসেন্স!
আইন ও নিয়মের বাইরে ইউনাইটেডকে কম দামে গ্যাস ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপের কথা বলেছেন অনেকে। তাদের প্রশ্ন, শেখ হাসিনা আইনের ঊর্ধ্বে ছিলেন কি না?
বিইআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, “আইনগতভাবে ইউনাইটেডের ১৬ টাকায় গ্যাস পাওয়ার সুযোগ নেই। তার পরও তারা কম মূল্যে গ্যাস নিচ্ছে, এটা বিস্ময়কর।”
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বলেন, “ইউনাইটেড গ্রুপকে দেওয়া লাইসেন্স রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থি। রাষ্ট্রের সংবিধান, আইন ও নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বেসরকারি কোনো কোম্পানিকে ডিস্ট্রিবিউশন লাইসেন্স দেওয়ার এখতিয়ার নেই। কিন্তু ইউনাইটেড গ্রুপ বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন করছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি আইনের ঊর্ধ্বে ছিলেন? প্রধানমন্ত্রী বললেই এটা কেউ দিতে পারে না। এটা দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। ক্যাপটিভ শ্রেণির গ্রাহককে আইপিপির রেটে গ্যাস দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
জুলাই আন্দোলন দমনে ইউনাইটেডের পৃষ্ঠপোষকতা, পাঁচ মামলা
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড গ্রুপের কর্ণধার হাসান মাহমুদ রাজা, চেয়ারম্যান ও এমডি মঈনউদ্দিন হাসান রশিদ ও গ্রুপের কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) আফজালের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলা হয়। আন্দোলনের সময় ঢাকার প্রগতি সরণিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বাহাদুর হোসেন মনিরের বাবা আবু জাফরের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এই তিনজনও আসামি। তাদের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা আছে।
অনুমতি ছাড়া ইউনাইটেড গ্রুপের প্রধান কার্যালয় ও ইউনিভার্সিটি
মাদানি এভিনিউয়ে ইউনাইটেড গ্রুপের প্রধান কার্যালয় ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ইউনাইটেড গ্রুপ এসব স্থাপনা গড়ে তোলায় অনুমোদন নেয়নি রাজউকের। এ নিয়ে রাজউক থেকে বিভিন্ন সময় নকশা ও নথি চেয়ে একাধিকবার চিঠি দিলেও তা সরবরাহে গড়িমসি করে ইউনাইটেড।
নসরুল হামিদ বিপুকে ৮০ কাঠা জমি ঘুষ
আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বেনামে ইউনাইটেড গ্রুপের একাধিক প্রকল্পের অংশীদার- এমন কথাও চাউর আছে। পতিত শেখ হাসিনা সরকারের এই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির (এপিএসসিএল) তৎকালীন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আলম মিলে ইউনাইটেডকে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ করে দেন। আর নেপথ্যে থেকে সবাইকে সহায়তা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, যিনি আওয়ামী লীগ আমলের বিদ্যুৎ খাত নিয়ন্ত্রণ করতেন।
আওয়ামী লীগ আমলে বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া হয়ে উঠেছিল ইউনাইটেড গ্রুপ। তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী বিপুকে ঘুষ হিসেবে রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউর ১০০ ফুট সড়কের পাশে ৮০ কাঠা জমি দেওয়া হয়, যার বর্তমান মূল্য দেড়শ কোটি টাকার বেশি।
পানামা পেপার কেলেংকারি
পানামা পেপার কেলেংকারির ফাঁস হওয়া খবরে প্রকাশিত হয়েছিল বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন ইউনাইটেড গ্রুপের হাসান মাহমুদ রাজা ও মইনউদ্দিন হাসান রশিদ ওরফে সানজারী।
হাজার কোটি কর ফাঁকি ইউনাইটেডের
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর গোয়েন্দা বিভাগের অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে শিল্পগ্রুপটি। এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রুপের কয়েকজন পরিচালক কর ফাঁকি দিয়েছেন ৪০ কোটি টাকা। তারা হলেন— মঈনুদ্দিন হাসান রশিদ, হাসান মাহমুদ রাজা, খন্দকার মঈনুল আহসান শামীম ও ফরিদুর রহমান খান।
ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
এই গ্রুপের ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধেও নানা সময়ে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ উঠেছে রোগীর স্বজনদের তরফে। সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যায় শিশু আয়ান। শিশুটির বাবা শামিম আহমেদ ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন উদ্দিন হাসান রশিদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাসহ আটজনের বিরুদ্ধে ডিবিতে অভিযোগ করেন।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৭ মে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় হওয়া মামলায় কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার অভিযোগ পায় পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত মামলাটি বিচারিক আদালতে ওঠেনি।
ইউনাইটেডের হেলমেট বাহিনী
সম্প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশানের সেন্টার পয়েন্টে ইউনাইটেড গ্রুপের হেলমেট বাহিনীর হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় ইউনাইটেড গ্রুপের সিইওসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তাছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে পাঁচটির মতো মামলা হয়েছে। এসব হত্যা মামলা এজহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা গ্রেপ্তার হলেও অজ্ঞাত কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে ইউনাইটেড গ্রুপের কর্তাব্যক্তিরা।
অভিযোগ আছে, জুলাই আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা সরকারকে টাকা দিয়ে সহায়তা করে ইউনাইটেড গ্রুপ। হাজার কোটি টাকা কর ফাঁকি ছাড়াও ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের তদন্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এরই মধ্যে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩মে/এলএম/এফএ)