বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজা রামা এক্স, বিলাসিতার ঝলক দেখলে চমকে উঠবেন
প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৫, ১০:৪৫ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৫, ১০:৫৬

পৃথিবীতে ধনী ব্যক্তিদের সংখ্যা কম নয়। বিশ্বের ধনকুবেরদের নাম আসলেই আমরা প্রথমে মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি কিংবা বিল গেটসের নাম প্রথম সারিতে চলে আসে। তবে রাজকীয় প্রাসাদ, ঐশ্বর্য, বিলাসিতা, ঐতিহ্যের দিক থেকে এক আলাদা নাম ধনকুবেরদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন একজন রাজা। তিনি হলেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন, যাকে কিং রামা এক্স নামেও অনেকে চেনে। তিনি একজন দক্ষ পাইলট।
৭২ বছর বয়সি রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন পরিচিত রাম দশম নামেও। বাবা রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজ। রাজা ভূমিবল ৭০ বছর ধরে তাইল্যান্ডে শাসন করেছিলেন। বিশ্বের দীর্ঘ দিন শাসন করা রাজাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে উঠে এসেছে চমক দেওয়া তথ্য। কিং রামা এক্স নাকি বিশ্বের সবথেকে ধনী রাজা। আর তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩.৭ লক্ষ কোটি টাকা, যার পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াচ্ছে। শুনলে চমকে উঠবেন, তার কাছে রয়েছে ৩৮টি প্রাইভেট জেট বিমান, ৩০০টির বেশি দামি গাড়ি যার মধ্যে রোলস রয়েস, বেন্টলি, ল্যাম্বরগিনি সহ প্রচুর সুপারকার জায়গা করে নিয়েছে। এমনকি ৫২টি সোনায় মোড়া রাজকীয় নৌকা যেগুলো শুধুমাত্র থাইল্যান্ডের রাজ পরিবারের অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়।
কিং রামা এক্স এই বিপুল সম্পদের উত্তরাধিকার পেয়েছেন ২০১৬ সালে। সে সময় তার বাবা রাজা ভূমিবল আদুল্যাদেজ প্রয়াত হন। ব্যাংককে তার বাবার ১৭,০০০-এর বেশি সম্পত্তি, থাইল্যান্ডের বিরাট বিরাট কোম্পানিতে বিনিয়োগ, তাকে এই বিপুল সাম্রাজ্যের মালিক বানিয়েছে।
রাজা ভাজিরালংকর্ন ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজা ভূমিবল ও রানি সিরিকিটের একমাত্র যোগ্য সন্তান। এমনকি তিনি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং একজন প্রশিক্ষিত জেট ও হেলিকপ্টার পাইলটও বটে। পাশাপাশি তিনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে মিলিটারি স্টাডিজে ডিগ্রিও অর্জন করেন।
তবে সবথেকে মজার ব্যাপার হলো – এই বিরাট ধনসম্পদ থাকলেও আর্থিক দিক থেকে তিনি এখনো ভারতের শীর্ষ ধনকুবেরদের ধারেপাশে আসতে পারেননি। রিপোর্ট বলছে, মুকেশ আম্বানির এখনো পর্যন্ত মোট সম্পদের পরিমাণ ৯২.৫বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যাদের কাছে রাজা ভাজিরালংকর্ন অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬ মে/আরজেড)