শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তারের বিষয়ে যা জানালো সেনাবাহিনী 

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২৫, ১৯:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

কুষ্টিয়া ও রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান সুব্রত বাইন, আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে কুষ্টিয়ার সোনার বাংলা রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে সকাল ৭টায় হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী, আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, শুটার আরাফাত ও শরীফ ওরফে  ড্রাইভার শরীফ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫ টি বিদেশি পিস্তল, ১০ টি ম্যাগজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। 

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বনানীর সেনাসদরে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউদ্দৌলা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন,' কুষ্টিয়া ও হাতিরঝিল এলাকা থেকে অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ ও দুজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি আমাদের সেনাবাহিনীর দক্ষতা, গোয়েন্দা সক্ষমতা এবং জাতির প্রতি দায়িত্ববোধের একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।'

তিনি বলেন, 'আজ ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হওয়া কুষ্টিয়া এবং ঢাকার হাতিরঝিলে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একটি ইউনিট, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সফলভাবে দুইজন শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং তাদের দুইজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।'

আইএসপিআর পরিচালক আরও বলেন, 'এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, চাঁদাবাজি ও নাশকতা চালিয়ে আসছিল। সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ ২০০১ সালে সরকার ঘোষিত তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সেভেন স্টার গ্রুপের মূল পরিকল্পনাকারী। এই অভিযান ছিল দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তথ্য ও পরিকল্পনার ফসল। অভিযানটি কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও সংঘর্ষ ছাড়াই পরিচালিত হয়। যা আমাদের সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।' 

এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় ও সহায়তা করেছে সেনা সদর, সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর, ৫৫ ডিভিশন, ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার বিগ্রেড, ৭১ মেকানাইজ বিগ্রেড ও এনএসআই।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/এলএম/এমআর)