বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, ব্যাপক সংঘর্ষ-গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২৫, ১১:০৮ | আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫, ১১:৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানের জেরে বিক্ষোভ–সংঘর্ষ এবং অগ্নিসংযোগে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর।

 

অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে টানা তৃতীয় দিনের মতো গতকাল রোববারও বিক্ষোভ হয়েছে।

গত সপ্তাহ থেকে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান শুরু করে দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। অভিযানে অন্তত ১১৮ জনকে আটক করে আইসিই। এর মধ্যে কেবল শুক্রবারেই ৪৪ জন আটক করা হয়েছে। এনিয়ে শহরটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ রূপ নেয় সংঘর্ষে এবং পরবর্তী সময়ে তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।  বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

 

বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে 'অমানবিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। শনিবারই ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়ে ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। ডিক্রিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং ফেডারেল সম্পত্তি রক্ষা করাই এই সিদ্ধান্তের কারণ। তবে এরপরেও বিক্ষোভ তৃতীয় দিনে গড়েছে। 

 

তৃতীয় দিনের বিক্ষোভও সহিংসতায় পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বিক্ষোভকারীর হাতে মেক্সিকান পতাকা দেখা গেছে।

 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইট ও পাথর ছুড়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিকে জ্বলন্ত বস্তুও নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। পুলিশের গাড়িও জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। এডওয়ার্ড আর রয়বাল ফেডারেল বিল্ডিং, মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টার এবং ১০১ ফ্রিওয়ের কাছে তৃতীয়দিন সংঘর্ষ হয়েছে।

 

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রস্থলে যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তৃতীয় দিনের বিক্ষোভেও পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে।

 

লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে- তাতে বেজায় চটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। তিনি একে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উস্কানি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ক্ষমতার উদ্বেগজনক অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।

 

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বিক্ষোভ না থামলে আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। এক্স-এ দেওয়া বার্তায় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে প্রয়োজনে মেরিন সেনা মোতায়েন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৯ জুন/আরজেড)