আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: নিহত বেড়ে ২৯১
প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৫, ০০:৪০
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৯১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনই নিহত হয়েছেন। বিমানটি আছড়ে পড়েছিল যে বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে, সেখানে ৫০ জনের বেশি মারা গেছেন।
গুজরাটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, দুর্ঘটনায় মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন।
স্মরণকালের ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় অলৌকিভাবে বেঁচে গেছেন একজন যাত্রী। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এই যাত্রী বিমানের জরুরি বহির্গমন দরজার পাশের ১১-এ আসনে ছিলেন। হয়তো এ কারণে তিনি বেঁচে গেছেন। তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট এবং কালো রঙের ট্রাউজার্স। যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, ওই যাত্রীর নাম বিশ্বকুমার রমেশ। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহমেদাবাদ পুলিশের প্রধান জি এস মালিক জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০০টির বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানের যাত্রী ছাড়াও ওই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মরদেহ আছে। নিহতদের মধ্যে আছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।
এ ছাড়া হাসপাতালে মারা গেছেন আরও অনেকে, যাদের বেশির ভাগ ওই ছাত্রাবাসের বাসিন্দা।
মরদেহ শনাক্ত করার জন্য বিমানের যাত্রী ও ওই ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের স্বাস্থ্য সচিব ধনঞ্জয় দ্বিবেদী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনের উদ্দেশে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটিতে করে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক। বিমানটি বিমানবন্দরের বাইরে একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপরে আছড়ে পড়ে। এতে সেখানকার শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের অনেক হতাহত হন।
ভারতের এ ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর অনেকটা দুলতে দুলতে বিমানটি এগিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি বিধ্বস্ত হয়।
বিমান চলাচল বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, বিমানটি উড্ডয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত এটিতে কয়েকটি পাখি আঘাত হেনেছিল। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ছিল বিমানটি সেটি হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিমানটি আর উপরের দিকে নিতে পারেননি পাইলট।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/মোআ)