ইসরায়েলের হামলার কঠোর জবাব দিতে ইরানের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৫, ১১:৫০ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ১২:০৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস দপ্তর, পারমাণবিক স্থাপনাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলার কঠোর প্রতিশোধের অঙ্গীকার করেছে ইরান। প্রতিশোধের ধরন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। দেশটি বলেছে, এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে চড়া মূল্য দিতে হবে।

ইসরায়েলের হামলার পর এই হুশিয়ারি করেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি।

আজ শুক্রবার ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে প্রাণঘাতী হামলা চালায় ইসায়েল।  

জায়নবাদী এ হামলার জবাব ইরানি সশস্ত্র বাহিনী অবশ্যই দেবে উল্লেখ করে আবুলফজল শেখারচি বলেন, ইসরায়েলকে তার হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

ইসরায়েলের হামলার জবাব কঠোর ও ফলাফল নির্ণায়ক কবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র। ইরানের প্রতিশোধ কেমন হবে, তার বিস্তারিত নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে ।

এদিকে আরেক বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মী আলী খামেনি হুঁশিয়ার করেছে, ইসরায়েলকে কশিন শাস্কি ভোগ করতে হবে। তিনি বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইহুদিবাদীরা নিজেদের জন্য এক তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে এবং তা তাদের ভোগ করতেই হবে

আজ শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় ভোররাতে প্রথম দফায় রাজধানী তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরে হামলা করে ইসরায়েল। আগুন জ্বলতে দেখা গেছে মধ্য ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়ও। এই হামলায়

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা রাইজিং লায়ন নামে একটি পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানে ইরানে আঘাত হেনেছে। এই হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

তেহরানসহ ইরানের কয়েকটি জায়গায়   ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি,  জ্যেষ্ঠ দুই পরমাণুবিজ্ঞানী- ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান ফেরেদুন আব্বাসি এবং তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি নিহত হন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের যেসব বিজ্ঞানী দেশটির জন্য (পারমাণবিক) বোমা তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন, তাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। যত দিন প্রয়োজন, তত দিন এমন হামলা চলতে থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/মোআ)