ইরান এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক অভিযান’ শুরু করতে যাচ্ছে
প্রকাশ | ১৮ জুন ২০২৫, ১১:৪৫ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫, ১২:৪০

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ঘনীভূত হচ্ছে প্রতিদিন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবার ‘শাস্তিমূলক অভিযান’ শুরু করতে যাচ্ছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) স্থানীয় সময় রাতে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভিডিও বার্তায় মুসাভি বলেন, “যেসব সামরিক অভিযান আমরা এখন পর্যন্ত চালিয়েছি, তা শুধুই হুঁশিয়ারি। ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এখন শাস্তির পালা আসছে।”
তিনি জানান, ইরান এখন পর্যন্ত যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে, তা ছিল মূলত প্রতিরোধমূলক এবং সতর্কতামূলক। কিন্তু এবার শুরু হবে ‘প্রকৃত শাস্তির অভিযান’।
ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, বিশেষ করে তেল আবিব ও হাইফার বাসিন্দাদের উদ্দেশে মুসাভি বলেন, “জীবন বাঁচাতে এসব এলাকা ত্যাগ করুন। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পশুত্বসুলভ আকাঙ্ক্ষার বলি হবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানি জাতি কখনো কোনো আগ্রাসনের সামনে মাথানত করেনি, ইতিহাস তার সাক্ষী। এবারও বর্বর ইসরাইলি হামলার মোকাবিলা করে তাদের অপরাধের জন্য উপযুক্ত শাস্তি দেবে ইরান।”
মুসাভি জানান, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর অ্যারোস্পেস ফোর্স, বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট, সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় একত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এসব বাহিনী একযোগে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে, বিশেষ করে কৌশলগত ও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে।
তিনি আরও বলেন, ১৩ জুন থেকে শুরু করে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের জবাবে ইরান একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি স্থাপনাগুলোর ওপর।
মুসাভি অভিযোগ করেন, ইসরাইলের ‘উসকানিমূলক হামলা’ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন নারী ও শিশু রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮ জুন/আরজেড)