টান পড়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারে

প্রকাশ | ১৮ জুন ২০২৫, ১৪:৪৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ইরানের হামলা ঠেকাতে ঠেকাতে টান পড়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের ভাণ্ডারে। এতে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার সক্ষমতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

আজ বুধবার (১৮ জুন) মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র অ্যারো ইন্টারসেপ্টর-এর সংকটে রয়েছে। ইরান থেকে ছোড়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতে ইসরায়েলের  সক্ষমতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে কিংবা তাদের গোলাবারুদ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ইসরায়েলের অভিভাবক হিসেবে গণ্য যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েক মাস আগেই ইহুদি দেশটির এই সক্ষমতা সংকট সম্পর্কে অবগত বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করছে।

এই পরিস্থিতিতে ইরান গত রাতে ইসরায়েলের দিকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহ-১ ছুড়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড করপস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের শক্তিশালী ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল ভেঙে দেশটির আকাশের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছে।

২০২৩ সালে ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের সময় ইরানের রাজধানী তেহরানে টানানো একটি বিশাল ব্যানারে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল: ৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিবে।

২০২৪ সালে প্রকাশিত বিবিসির প্রতিবেদন মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯১ সালে অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন শুরু হয় ইসরায়েলে। ২০১৭ সালে এটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার হয়।

 (ঢাকাটাইমস/১৮জুন/মোআ)