আবারও ইসরায়েলি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করল ইরান

দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইরান। দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণভাবে সচল অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ইরানি বাহিনী পঞ্চম বারের মতো ইসরায়েলের একটি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান ও একটি হার্মিস ৯০০ গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি'র বরাত দিয়ে আল জাজিরা বুধবার (১৮ জুন)  জানিয়েছে, ইরানি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসফাহান শহরে একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৯০০ ড্রোন গুলি করে নামিয়ে দিয়েছে। আইআরআইবি ভূপাতিত ড্রোনটির ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যা নজরদারি মিশনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল বলে জানা গেছে।

হার্মিস ৯০০ হচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অন্যতম উন্নত ও বিধ্বংসী মনুষ্যবিহীন বিমান। এটি দীর্ঘ সময় আকাশে বিচরণ করতে পারে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সক্ষম।

ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, তেহরান প্রদেশের ভারমিন্ট শহরের জাভাদাবাদ এলাকায় ইরানি বাহিনী পঞ্চম বারের মতো একটি ইসরায়েলি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। যদিও ইসরায়েল এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

এ ঘটনার পর ইসরায়েলের হামলায় নিহত ইরানি বিজ্ঞানী, সামরিক কমান্ডার ও বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতির উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী।

তিনি বলেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েল বড় ভুল করে ফেলেছে, মারাত্মক ভুল। এর পরিণতিতে দখলদার ইসরায়েল অসহায় হয়ে পড়বে ইনশাআল্লাহ।’ তিনি আরও জানান, ইরানি জাতি শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না এবং দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এফ-৩৫ হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান, যা শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে চলার সক্ষমতা রাখে। বিমানটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১,২০০ মাইল গতিবেগ অর্জন করতে পারে। এতে রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি সেন্সর কভারেজ, উন্নত সেন্সর ফিউশন প্রযুক্তি এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র বহনের ক্ষমতা। এটি দুটি বাইরের ও চারটি অভ্যন্তরীণ মিসাইল বহন করতে পারে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইরান যদি সত্যিই একটি এফ-৩৫ ভূপাতিত করে থাকে, তবে এটি শুধু প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ জুন/আরজেড)