সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে ডিএমপিকে প্রস্তুতি নিতে বললেন আইজিপি
প্রকাশ | ১৮ জুন ২০২৫, ১৯:০২ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫, ২০:৩২

জনগণকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে ডিএমপির কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
বুধবার (১৮ জুন) সকালে রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে গত মে মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ডিএমপির কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন আইজিপি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) বাংলাদেশ পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হিসেবে অভিহিত করে বাহারুল আলম বলেন, ‘ডিএমপির কাছ থেকে জনগণ উৎকৃষ্ট সেবা ও পেশাদারিত্ব আশা করে।’
থানা এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের বিশেস কিছু নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেন আইজিপি। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ডিউটি, গার্ড ডিউটি এবং কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনকালে সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে। ডিউটি পোস্টে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না, যাতে কর্মকর্তাদের মনোযোগ ও দায়িত্ব পালনে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।’
আইজিপি আগামী দিনে জনগণকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে ডিএমপির কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের হার আরও বাড়াতে হবে। ডিবিসহ সব পুলিশ সদস্যকে আরো কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
দল-মতনির্বিশেষে জাতীয় স্বার্থে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণকে সফল নির্বাচন উপহার দিতে হবে বলে মন্তব্য করে কমিশনার বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে শতভাগ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে এই প্রক্রিয়া সফল করতে হবে। নির্বাচনের সময় যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব সময় প্রস্তুত থাকবে।’
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও নাশকতার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। দাগী আসামিদের গুরুত্বপূর্ণ ওয়ারেন্ট তামিল আরও বাড়াতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের কাজের গতি আরো বাড়াতে হবে। জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ঝটিকা মিছিল বন্ধে থানাগুলোকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন মে মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন-ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
মাসিক অপরাধ সভায় মে মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এলএম/মোআ)