ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে ট্রাম্প যে সিদ্ধান্ত জানালেন

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২৫, ০৮:৪৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

চলমান মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনার মধ্যে ইরানে সম্ভাব্য সামরিক হামলার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনো পর্যন্ত এই হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে শেষ পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপ নিতে হতে পারে এবং সে বিষয়ে তিনি অনুমতি দিয়েছেন। তবে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান, যদি তেহরান কোনো সমঝোতায় আসে।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানের পাহাড়ঘেরা গোপন ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি এতটাই সুরক্ষিতভাবে নির্মিত যে, শুধুমাত্র সর্বাধুনিক এবং অত্যন্ত শক্তিশালী বোমার মাধ্যমেই এ কেন্দ্রটি ধ্বংস করা সম্ভব বলে সামরিক বিশ্লেষকদের অভিমত।

 

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি হামলা করতেও পারি, আবার নাও করতে পারি।একইসঙ্গে তিনি তেহরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণকরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আগামী সপ্তাহটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবেএমনকি সপ্তাহও লাগতে পারে না।

 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। তৃতীয় একটি নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ আরব সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যদিও পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপগুলো প্রতিরক্ষামূলক, বিশ্লেষকরা মনে করছেনএগুলো আসলে সম্ভাব্য আগ্রাসনের প্রস্তুতি।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের ওপর সরাসরি হামলা চালায়, তাহলে এই মোতায়েন হবে অত্যন্ত কৌশলগত। একইসঙ্গে এটি তেহরানের ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও সামরিক চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা আত্মসমর্পণ বা কোনো ধরনের সমঝোতায় রাজি হয়।

 

উল্লেখ্য, চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইরানে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৫০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরাইলে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

(ঢাকাটাইমস/১৯ জুন/আরজেড)