ফেসবুকে পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের

এআই নীতি ফোরামে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর একান্ত সচিব! বিশেষজ্ঞ নয় কেন?

প্রকাশ | ২০ জুন ২০২৫, ১৩:৪৮ | আপডেট: ২০ জুন ২০২৫, ১৪:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস


বৈশ্বিক এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) নীতিনির্ধারণ ও নৈতিকতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী য়েজ আহমদ তৈয়্যবের একান্ত সচিব আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর আয়োজনে একজন এআই নীতি বিশেষজ্ঞের পরিবর্তে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেন যাচ্ছেন—তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

শুক্রবার দুপুরে জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,
“এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) পলিসি নিয়ে এই বৈশ্বিক আয়োজনে ইউনেস্কোর টাকায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর পিএস কেন যাবেন? আগামী ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ‘National AI Policy to the 3rd Global Forum on the Ethics of AI’ শীর্ষক সভায় একজন এআই পলিসি বিশেষজ্ঞ কি পাঠানো সম্ভব নয়?”

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন:
“এডমিন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা যিনি প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার বিশেষ সহকারীর পিএস, তিনি ঠিক কোন অভিজ্ঞতার আলোকে এই ফোরামে যোগদান করবেন?”

সায়েরের এ পোস্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রযুক্তি ও প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে ‘যোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা’ নিশ্চিত না করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এআই নীতিনির্ধারণে সরাসরি সম্পৃক্ত কোনো কর্মকর্তা, প্রযুক্তিবিদ বা গবেষকের পরিবর্তে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে এমন একটি ফোরামে মনোনয়ন দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, “AI Ethics” বিষয়টি এখন বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনার ক্ষেত্র। এ ধরনের ফোরামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করা উচিত এমন কারও, যিনি বাস্তবে এআই নীতির প্রণয়ন বা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/২০জুন/এলএম)