একটি দলের নেতাকর্মীদের বেআইনি কর্মকাণ্ডে জনগণ অতিষ্ট: বুলবুল

প্রকাশ | ২০ জুন ২০২৫, ২০:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

একটি দলের নেতাকর্মীদের বেআইনি কর্মকাণ্ডে জনগণ অতিষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই একটি একটি দল লুটপাটের মহোৎসব শুরু করেছে। তাদের নেতাকর্মীদের বেআইনি কর্মকাণ্ডে জনগণ অতিষ্ট হয়ে গেছে। জনগণ তাদের হাত থেকে মুক্তি চায়। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে জনগণ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি সমর্থন বাড়াতে শুরু করছে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর সবুজবাগস্থ বৌদ্ধ মন্দির অডিটোরিয়ামে খিলগাঁও ও সবুজবাগ-মুগদা জোনের উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা- ৯ আসনের ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটির সদস্য সমাবেশ ও ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা-৯ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক মাওলানা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি, ঢাকা- ৯ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহমদ।

নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে বুলবুল বলেন, দেশবাসী আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমেই সন্ত্রাসী ও লুটেরাদের বয়কট করবে ইনশাআল্লাহ। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, কোন কোন দল মনে করে ঢাকা শুধুমাত্র তাদের। ঢাকাকে কারো কাছে লিজ দেওয়া হয়নি। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের ঢাকাবাসী আর সুযোগ দিবে না। ঢাকাবাসী আধুনিক ঢাকা গড়তে জামায়াতে ইসলামীকে বেছে নিবেন। কারণ একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে একমাত্র জামায়াতে ইসলামীর সক্ষমতা রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীতে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ নাই। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে জনগণ যেই আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে শুরু করেছে, সেই আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

সরকারের ঘোষিত সময় সীমার মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, তবে তার আগে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার সহ রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার করতে হবে। জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে তিনি আবারো, জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে সরকারের নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমান দেওয়ার দাবি জানান। এসময় তিনি আরো বলেন, যেনতেন একটি জাতীয় নির্বাচন হলে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। নতুন করে ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে এমন নির্বাচন জামায়াতে ইসলামী চায় না। জামায়াতে ইসলামী চায়, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন। যেই নির্বাচনে সকল দলের জন্য সমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে। কেউ পেশি শক্তি ব্যবহার করে ভোট কেন্দ্র দখল নিতে পারবে না, নিজেরাই নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করতে পারবে না। নির্বাচন মানে যুদ্ধ উল্লেখ করে তিনি এই যুদ্ধে দেশ ও জাতির জন্য বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনিদের্শনা প্রদান করেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আগামী নির্বাচনে এদেশের জনগণ জামায়াতের পক্ষে সমর্থন দিয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ। 

তিনি আরো বলেন, কেউ কেউ টকশোতে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভোটের এবং আসনের হিসাব করে। জামায়াতে ইসলামী টকশোতে এই হিসাব করে না। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে জনগণই ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে জামায়াতে ইসলামী কত আসনে বিজয়ী হবে। 

তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করতে বিভিন্ন কৌশল ও দিকনিদের্শনা দিয়ে বলেন, ভোট আমানত। এই আমানত রক্ষায় জনগণের পাশে থাকতে হবে। প্রতিটি ভোটার নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে এসে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাড়িতে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত সার্বিক সহযোগিতা করতে তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। 
 
(ঢাকা টাইমস/২০জুন/জেবি/এসএ)