বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিক রূপ পাবে: বিমানবাহিনী-প্রধান

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০৫

বগুড়ার বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিদর্শন করেছেন বিমানবাহিনী-প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। তিনি বলেছেন, শিগগিরই এটি বাণিজ্যিক রূপ পাবে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে হেলিকপ্টার যোগে বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিদর্শনের পর এ কথা বলেন। এ সময় তার সাথে বিমানবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন।

রানওয়ে পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে বিমানবাহিনী-প্রধান জানান, এটি একটি এয়ার ফিল্ড। শুধু রানওয়ের দৈর্ঘ্যটি ছোট। আমরা ইচ্ছা করলে এখানে এখনই ছোট বিমান নামাতে পারি। আমাদের যেটি প্রয়োজন এটাকে রিকার্পেটিং করা।’

কাজে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে জানিয়ে এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, ‘এটার রানওয়ে যেটা আছে, সেটা ব্যবহারযোগ্য করে ফেলব।’

রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৪৫০০ ফুটের একটু বেশি আছে। আর বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানান বিমানবাহিনী-প্রধান। তবে তিনি বলেন, ‘যা আছে সেটি পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে। জরুরি সময় যেকোনো ছোট বিমান অবতরণ করতে পারবে। একটু বড় বিমানের ক্ষেত্রে রানওয়ে বড় করতে হবে। সেটা সরকারি বিধি অনুযায়ী হবে। আমরা যদি অনুমোদন পাই, সরকারের কাছে অবশ্যই পারসু করব।

বগুড়ার বিমানবন্দরটি চালু করতে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পনা করেছেন বলে জানান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। সেটি চার ধাপে করা হয়েছে। বর্তমানে যেটি আছে এর সেকেন্ড ধাপে গেলে মোটামুটি ছোট বিমান আসতে পারবে। সেটায় ৬০০০ ফুট রানওয়ে লাগবে। তবে বড় বিমান আনতে ৮০০০ ফুট দৈর্ঘ্যের রানওয়ে লাগবে। আরও বড় বিমান আনতে ১০ হাজার ফুট রানওয়ে লাগবে। ওইটা পরের ধাপ।

কিন্তু ৬০০০ ফুটের রানওয়ে করতে যদি সরকারের অনুমোদন বরাদ্দ পাওয়া যায় তবে দেড় বছরের মধ্যে এটি চালু করা সম্ভব বলে মনে করি বিমানবাহিনী-প্রধান।

এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, ‘বগুড়ার বিমানবন্দরে বিগত সময়ে বাণিজ্যিকভাবে বিমান ওঠানামা নিয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিগত সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। এখন সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। ছাড়া কৃষি পন্যসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজে বিমানবন্দরটি ব্যবহারের জন্য সরকারের বিভিন্ন ধরনের গবেষণার প্রয়োজন আছে।’ এগুলোর সমন্বয়ে এই বিমানবন্দরটি বাণিজ্যিক রূপ পাবে বলেও জানান বিমানবাহিনীর প্রধান।

সময় সহকারী বিমানবাহিনী-প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ এস এম ফখরুল ইসলাম, বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর করিব ভুইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় বিমানবন্দর স্থাপনে প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৮৭ সালে। কিন্তু নানা জটিলতায় সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে। এরপর ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে এখানে বিমানবন্দর স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

সে সময় ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর ১৯৯৫ সালে সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ১১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে সেখানে প্রকল্পের আওতায় রানওয়ে, কার্যালয় ভবন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ পানি সরবরাহ, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করা হয়। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০০০ সালে।

ওই সময় থেকে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ওঠানামা করে। পর্যায়ক্রমে এখানে বেসামরিক বিমান চলাচলের ব্যবস্থা করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়ায় হওয়ায় বিষয়টি প্রায় দুই যুগ ধরে ফাইলবন্দী অবস্থায় পড়েছিল।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াত যোগ দেবে, আশা প্রেস সচিবের

তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতির আশঙ্কায় বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্রসচিব

ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দার

জুলাইয়ের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ তৈরি করতে পারবো: আলী রীয়াজ     

দেশে জ্বালানির দাম বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই: অর্থ উপদেষ্টা

অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ অব্যাহত

বিতর্কিত ৩ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

সুষ্ঠু তদন্তে গুম কমিশনকে সহযোগিতার আশ্বাস জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ২২ জুন

মধ্য আফ্রিকাগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের বিমানবাহিনী প্রধানের ব্রিফিং

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :