রাবির ১১ হলে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রাতের আঁধারে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কমিটিতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও অপরাধীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মোট ১১টি হলে কোরআর পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।
হলগুলো হলো- শহীদ জিয়াউর রহমান হল, সৈয়দ আমীর আলী হল, মতিহার হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখ্শ হল, শেরে বাংলা হল এবং শাহ মখদুম হল, হোসেন সোহরাওয়ার্দী হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ শামসুজ্জোহা হল।
হলগুলোর মসজিদ ও বুক সেলফে রাখা কোরআন শরীফের পৃষ্ঠা আংশিক পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থী জানান, কোরআন শরীফের প্রথম ও শেষ দিকের কিছু অংশ পুড়িয়ে বইয়ের বাকিটুকু অক্ষত রাখা হয়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ বলে মনে হচ্ছে। সৈয়দ আমীর আলী হলে মুক্তমঞ্চে কুরআন পোড়ানোর পাশাপাশি দেওয়ালে ভারতীয় রাজনৈতিক দল বিজেপির লোগো আঁকা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। মসজিদের পেশ ইমাম জানান, সেদিন পবিত্র কোরআনের কয়েকটি পৃষ্ঠা পুড়িয়ে একটি চিঠি রেখে যাওয়া হয়। চিঠিতে গুনাহের স্বীকারোক্তি থাকলেও সাম্প্রতিক ঘটনায় সেই ধারা ভিন্ন, যা ইঙ্গিত দেয় এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, ‘এটি গভীর ষড়যন্ত্রমূলক একটি ঘটনা। কোরআন পোড়ানোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। ‘আল কোরআনের অপমান সইবে নারে মুসলমান’, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’ স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়। ইসলামি ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন একাত্মতা পোষণ করে বিক্ষোভে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক হলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘কোনো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে না। এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমাদের সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার জানান, ‘ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং এতে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এজে)
সংবাদটি শেয়ার করুন
শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষা এর সর্বশেষ

এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাউশির জরুরি স্বাস্থ্য নির্দেশনা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি স্বাস্থ্য নির্দেশনা

এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে যে নির্দেশনা দিলো শিক্ষা বোর্ড

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনিয়ম ও দুর্নীতি: প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে শিক্ষার্থীরা

১৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি

১৩ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং এইমস হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা স্মারক

জবিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদুল আজহা উপলক্ষে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন শিবিরের
