বাউফলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

পটুয়াখালীর বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. তরিকুল ইসলাম শরীফ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি ও লঞ্চের ধাক্কায় মো. সেন্টু প্যাদা (৫০) নামে আরেক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মো. রেজাউল (৩৮) ও মো. সুজন ফকির (৩৪) নামে আরও দুই জেলে।

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বাউফল-বগা সড়কের রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার মানিক চৌকিদারের বাড়ির সামনে থেকে তরিকুলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত তরিকুল উপজেলার কনকদিয়া গ্রামের আবু বক্কর শরীফের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালক।

বগা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে পরিবহনের কোনো গাড়ি অথবা ট্রাক তাকে চাপা দিয়েছে। ঘটনাস্থলেই তরিকুল মারা গেছেন। তার মাথা থেতলে গেছে। বাস শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

একইদিন সকাল ৮টার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর মমিনপুর এলাকা থেকে সেন্টু প্যাদার লাশ উদ্ধার করেছে কালাইয়া বন্দর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

সেন্টু প্যাদা পেশায় একজন জেলে ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আওলাদ প্যাদা।

নিহতের সঙ্গে থাকা দুই জেলে প্রত্যক্ষদর্শী মো. রেজাউল (৩৮) ও মো. সুজন ফকির (৩৪) বলেন, রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে তারা তিনজন ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার জন্য। মমিনপুর এলাকায় নদীতে জাল ফেলে নৌকায় শুয়ে ছিলেন তারা। রাত সাড়ে ৩টার দিকে একটি লঞ্চ এসে নৌকার ওপর উঠিয়ে দিলে নৌকাটি ডুবে যায় এবং লঞ্চের ধাক্কায় সেন্টু প্যাদা আহত হয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। তারা সাঁতরিয়ে বেঁচে যান।

কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারের নিজ থেকে জালে পেচানো অবস্থায় সেন্টু প্যাদার লাশ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

(ঢাকা টাইমস/২৩জানুয়ারি/এসএ)