এক ভোল মাছের দাম সাড়ে ৩ লাখ টাকা

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১৯:২৬

বরগুনার পাথরঘাটায় ৩০ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের একটি সামুদ্রিক ভোল মাছ সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের এফবি সাইফ-২ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা বঙ্গোপসাগরে ভোল মাছটি ধরে।

মঙ্গলবার সকালে পাথরঘাটার আলম মিয়ার আড়তে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া সাড়ে তিন লাখ টাকায় মাছটি কিনে নেন।

ট্রলারের মাঝি জামাল বলেন, বৃহস্পতিবার ট্রলারে বাজার-সদাই করে ১৫ জন স্টাফ নিয়ে মাছ শিকারের জন্য সাগরে যাই। কয়েকদিন ধরে সাগরে জাল ফেলছিলাম কিন্তু বড় মাছ পাচ্ছিলাম না। এরপর রবিবার বঙ্গোপসাগরের প্রায় ১৮০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাল ফেলি। জাল তুলে দেখি ৩৪ কেজি ওজনের বিশাল ভোল মাছটি আটকা পড়েছে। মাছটি পেয়ে আমিসহ আমার ট্রলারের স্টাফরা অনেক আনন্দিত।

মৎস্য পাইকার মো. হানিফ মিয়া বলেন, তিন লাখ ৫০ টাকায় মাছটি কিনেছি। এটি চট্টগ্রাম চালান দিলে অনেক দাম পাওয়া যাবে।

সাইফ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম বলেন, মাছটির ওজন হয় ত্রিশ কেজি একশো গ্রাম। মাছটি ১২ লাখ টাকা মণ দরে দশ লাখ ছাপ্পান্ন হাজার টাকায় প্রথমে বিক্রি হয়। মাছটি কোরাল ভোল পুরুষ জাত ভেবে বেশি দরে বিক্রি হয়। পর মাছটির পেট থেকে বালিশ সংরক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায় মাছটি মা মাছ, পেটে ডিম। পরে মাছটির সাড়ে তিন লাখ টাকা দরে পুন-নির্ধারণ করে বিক্রি হয়। জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ভোল মাছ সচরাচর ধরা পড়ে না। বিশেষ করে এর বালিশ (এয়ার ব্লাডার) আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ মূল্যবান। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় এ মাছের ব্যাপক চাহিদা । এ মাছের বালিশ দিয়ে সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরি করা হয়।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম বলেন, ভোল মাছ বিদেশে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যদি জেলেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে এবং পোনা নিধন বন্ধ রাখে তাহলে সাগরে এমন বড় মাছের সংখ্যা আরও বাড়বে।

(ঢাকা টাইমস/২৫মার্চ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :