তিন সন্তানের জনকের বাড়িতে তরুণীর অবস্থান, বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি!

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ২১:০৫

কামরুজ্জান মুন্সী (৪০) নামের তিন সন্তানের এক জনকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে এসেছিলেন খুশি আক্তার (২০) নামের এক তরুণী। পরে বাসা ভাড়া নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু মাস দুয়েক পর তাকে ছেড়ে চলে যান প্রেমিক কামরুজ্জামান।

এখন বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক কামরুজ্জামানের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন খুশি আক্তার। পাঁচ দিন ধরে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন।

ঘটনাটি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামের। প্রেমিক কামরুজ্জামান দহিসারা গ্রামের আউয়াল মুন্সীর ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক ও কাপড় ব্যবসায়ী। প্রেমিকা খুশি আক্তার পার্শ্ববর্তী আলগাদিয়া গ্রামের মো. বিল্লাল মুন্সীর মেয়ে।

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে অবস্থান নেওয়া খুশি আক্তার বলেন, তিন মাস আগে ভাঙ্গা উপজেলার এক ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিয়েছিল আমার পরিবার। বিয়ের পর কামরুজ্জামানের দোকান থেকে কাপড় কেনার সময় তার সাথে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায় তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে কামরুজ্জামান আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিলে গত দুই মাস আগে আমি স্বামীকে ছেড়ে চলে আসি। এরপর থেকে আমরা নগরকান্দা পৌর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে থাকি।

খুশি আক্তার আরো বলেন, একসাথে থাকলেও তিনি (কামরুজ্জামান) আমাকে আর বিয়ে করেননি। আমি তাকে বিয়ের কথা বললেই তিনি নানা টালবাহানা শুরু করেন। একপর‌্যায়ে আমাকে ছেড়ে চলে আসেন। কোনো উপায় না দেখে আমি বিয়ের দাবিতে পাঁচ দিন ধরে তার বাড়িতে অবস্থান করছি। এখন তিনি আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

তবে কামরুজ্জামান মুন্সী দাবি করেন তিনি খুশিকে বিয়ে করেছিলেন এবং পরে তালাক দেন। তার ভাষ্য, আমার দোকান থেকে কাপড় কেনার সময় খুশির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি তাকে গোপনে বিয়ে করে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতাম। কিন্তু পরে আমি তাকে তালাক দিয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :