বিশ্ব গাধা দিবস যেভাবে এলো

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ মে ২০২৫, ১৫:১১

আজ বিশ্ব গাধা দিবস। ২০১৮ সালে ৮ মে প্রথম পালিত হয়। এই দিবসের সূচনা করেন প্রাণীবিজ্ঞানী আর্ক রাজিক। তিনি মরুভূমিতে বসবাসকারী প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেন, গাধারা মানুষের জন্য মূল্যবান কাজ করলেও যথাযথ সম্মান বা স্বীকৃতি পায় না।

সাধারণত বোকা অর্থে গাধা শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এমনকি যাদের একটু বুদ্ধি কম, তাদেরকেও অনেকে গাধা বলে থাকেন। বিজ্ঞানীরা বলেন, গাধার গাধামি নিয়ে যত গল্প প্রচলিত আছে, তার মূলে আছে গাধা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব। তবে গবেষণা বলছে, গাধা কিন্তু মোটেও বোকা নয়! আর পাঁচটা প্রাণীর চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। গাধার রয়েছে অবিশ্বাস্য স্মৃতিশক্তি। ২৫ বছর আগে দেখা এলাকা, এমনকি বহু বছর আগে দেখা গাধাদের তারা সহজেই চিনতে পারে। পাশাপাশি, গাধা প্রচণ্ড জেদি, আত্মরক্ষা করার প্রবল ক্ষমতা রাখে।

সেই ভাবনা থেকেই প্রতি বছর এই দিনে গাধার গুরুত্ব তুলে ধরতে দিবসটি পালিত হয়। দিবসটির উদ্দেশ্য হলো গাধা সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই প্রাণী কীভাবে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অবদান রাখছে তা তুলে ধরা।

চীনে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গাধা আছে। সেখানে গাধার চামড়ায় থাকা একটি আঠালো পদার্থ ব্যবহৃত হয় ওষুধ তৈরিতে, যা হাঁপানি ও অনিদ্রার মতো রোগের চিকিৎসায় উপকারী। তবে ওষুধ শিল্পে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে চীনে গাধার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

হাজার বছর ধরে গাধা চাষাবাদ, পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে মানুষের সহকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখনো দরিদ্র কৃষক ও শ্রমজীবীদের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তবে প্রায়ই এই প্রাণীদের প্রতি অবহেলা ও নিষ্ঠুর ব্যবহার করা হয়। একটি আলাদা দিবস পালনের মাধ্যমে এই অবহেলিত প্রাণীদের প্রতি সদয় আচরণ এবং সঠিক যত্নের গুরুত্ব তুলে ধরা সম্ভব।

কোনো ঘটনায় গাধা সহজে চমকে ওঠে না। এরা প্রখর কৌতূহলী। গাধার চিন্তাধারা ঘোড়ার থেকে স্বাধীন। একটি গাধা মরু পরিবেশে ৬০ মাইল দূরে থেকে অন্য গাধার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। ঘোড়ার থেকে তাদের আছে অনেক বড় কান, যা তাদের শরীর শীতল রাখে। গাধা নেকড়ে, বাঘ বা অন্য বন্য জন্তুদের হাত থেকে বাকি পশুদের রক্ষা করে বিশেষ সংকেত দিয়ে। গাধা গবাদি পশু, ভেড়া এবং ছাগলকে পাহারা দেয়।

গাধা গ্রামীণ অঞ্চলের জন্য একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বাহন হিসেবেও পরিচিত। দিবসটি শুধু গাধার গুরুত্ব তুলে ধরেই থেমে থাকে না, বরং এটি শিশু ও সাধারণ মানুষকে সকল প্রাণীর প্রতি সহানুভূতি, যত্ন এবং পরিবেশ রক্ষার শিক্ষা দিতেও সহায়ক।

এই অপ্রচলিত হলেও তাৎপর্যপূর্ণ দিবসটি মানুষের আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে পারে এবং "প্রতিটি প্রাণীই মূল্যবান"—এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

(ঢাকাটাইমস/৮ মে/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

লাইফ স্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :