কুয়াকাটা সৈকতে মার্কেট নির্মাণ: কলাপাড়া ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলা, এসিল্যান্ডকে শোকজ

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ১৯:১৬ | প্রকাশিত : ১৬ মে ২০২৫, ১৮:০০

জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদ সংলগ্ন মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কলাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলামের মামলা করা হয়েছে। একইসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসমিন সাদেককে শোকজ নোটিশ করা হয়। আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

জানা গেছে, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে অবস্থিত সাগর সৈকত জামে মসজিদ সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে মার্কেট নির্মাণ করছেন উপজেলা প্রশাসন।

মসজিদের মুসল্লিদের দাবি যে জমিতে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে ওই জমি মসজিদ কর্তৃপক্ষের।

অপরদিকে ওশান গ্রুপ, স্থানীয় জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও রহিম খান গংরা দাবি করছেন, বিরোধপূর্ণ ওই জমি ক্রয় সূত্রে তারা মালিক। তারা আরো দাবি করেন, ২৮৯৭/২০১০ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ৪ একর ৭৭ শতাংশ জমির মালিক সাব্যস্ত হয় মালেক ফরাজি গংরা। উক্ত মালেক ফরাজী সুপ্রিম কোর্টে ডিগ্রি প্রাপ্ত হইয়া ১২/৮/২০১৫ ইং তারিখ কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদের অনুকূলে ১০ শতাংশ ভূমি সাব কবলামূলে বিক্রয় করেন। অত্র মসজিদ কমিটি সাব-কবলা দলিলমূলে মালিক থাকিয়া উক্ত জমি ভোগ দখলে আছে।

অন্যদিকে ওশান গ্রুপ কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, মালেক ফরাজি গংদের কাছ থেকে ৪ একর ৭৫ শতাংশের জমির মালিক তারা। যার বিএস রেকর্ড সরকারের নামে থাকায় তারা আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেছেন।

মসজিদ কমিটির দাবি অত্র জমি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে জোরপূর্বক দখল করে তার খেয়াল খুশিমতো প্রকল্প দিয়ে একটি মার্কেট নির্মাণ করছে। এতে কোটি টাকার বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা ভূমি প্রশাসন এমন দাবি তাদের।

এ বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বাধা দিলেও উপজেলা প্রশাসন তা শুনছেন না। এরই প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মসজিদ কমিটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা করেন। যাহার মামলা নম্বর ৫৫৭/২৫। যাতে আসামি করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসমিন সাদেককে শোকজ করা হয়।

উক্ত মামলায় গত ১৪ মে পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারক কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং উপজেলা প্রশাসনকে উক্ত ভূমির উপর কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না মর্মে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মসজিদের মুসল্লি মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, ইউএনও এবং এসিল্যান্ড মসজিদ কমিটিকে তোয়াক্কা না করে মসজিদের জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক মার্কেট নির্মাণ করছেন। যার কারণে মসজিদ কমিটি মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসন বেরিবাঁধের বাহিরে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। অথচ উপজেলা প্রশাসন নিজেরাই সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে মসজিদ এবং পাবলিকের জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনারের মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তারা সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। মামলা ও এসিল্যান্ডকে শোকজের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ পাইনি। আর প্রতিদিন যে পরিমাণ কাজ থাকে তাতে এতো কিছু মনে রাখার সুযোগ কই বলে জানান তিনি।

(ঢাকা টাইমস/১৬মে/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :