দুর্নীতিবাজ উৎখাতে সচিবালয়ের সামনে জুলাই মঞ্চের অবস্থান

দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের আমলাদের উৎখাতে ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাত যাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীত পাশে অবস্থান নিয়েছে জুলাই মঞ্চ।

সচিবালয়-এনবিআরসহ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের আমলাদের উৎখাতের দাবি নিয়ে গতকাল ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাত যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটি।

এদিকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। আজ নিয়ে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ হচ্ছে দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রটি।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের কারণে আজ সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। একই সঙ্গে সচিবালয় ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রার ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

কড়াকড়ি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে সচিবালয়ের প্রধান ফটকে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াত এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া আর কেউ সেখানে ঢুকতে পারছেন না।

এর মধ্যেই দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের আমলাদের উৎখাতের দাবি নিয়ে জুলাই মঞ্চ সচিবালয়ের সামনের রাস্তার দক্ষিণ পাশে পার্কসংলগ্ন ফুটপাতে অবস্থান নিয়েছে।

তাদের পেছনে ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাত যাত্রা’ব্যানার এবং তার দুই পাশে বেশ কিছু ‘দুর্নীতিবাজ’ ব্যক্তির ছবিসহ ব্যানার টানানো।

এর আগে গতকাল চট্টগ্রামে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবআদুল্লা হুঁশিয়ার করেন। তিনি জানান, সচিবালয়ে পতিত স্বৈরাচারের কিছু দোসর রয়ে গেছে, তারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইছেন। তাদের উৎখাতে করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে আজ চতুর্থ দিন। আজ একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সচিবালয়ের বাইরে সারা দেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর খসড়া অনুমোদন করে।

কর্মচারীদের অভিযোগ, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশটি করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদনের পর থেকেই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/মোআ)