মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার শুরু
এ বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয়, ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা অতীতের কোনো প্রতিশোধ নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা বলে উল্লেখ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এই বিচার হবে আবেগশূন্য, তথ্য-প্রমাণনির্ভর এবং নিরপেক্ষ।
রবিবার (১ জুন) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। এ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নিয়েছে এবং পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমে যা কিছু হয়েছে, তার ভিত্তিতে কোনো ব্রেকিং করার প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করি। তবে আপনাদের উদ্দেশে আমরা এইটুকু জানাতে চাই যে, এই মামলার প্রতিটি অভিযোগই তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রণীত এবং ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনেক তথ্যই ইতোমধ্যে আদালতে উপস্থাপনকালে জাতি লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে শুনেছে, তাই সেসব বিষয়ে আমি নতুন করে কিছু বলতে চাই না।’
এই বিচার প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে নয়, এটি একটি ভবিষ্যৎমুখী প্রতিজ্ঞা— একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়নিষ্ঠ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য- এমন মন্তব্য করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, এই বিচার আবেগ নয়, বরং তথ্য ও প্রমাণনির্ভর হবে। এটি হবে নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত বিচার, যাতে কারও প্রতি অবিচার না হয় এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে সমাজে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়।’
এই মামলায় পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানান চিফর প্রসিকিউটর।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ১০ জুন ঈদের ছুটির পর তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেদিন আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলে বিচার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। তবে যদি কোনো আসামি অনুপস্থিত থাকেন, সেক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা সেদিন আদালত আইন অনুযায়ী নির্ধারণ করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ) সম্পর্কে প্রশ্ন উঠলে চিফ প্রসিকিউটর জানান, ‘আমাদের আইন ট্রাইব্যুনালকে লাইভ সম্প্রচারের এখতিয়ার দিয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অনুমতি পেলে আমরা বিচার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেব।’
এই বিচার সুষ্ঠূভাবে সম্পন্ন করার জন্য দেশবাসী এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহযোগিতা কামনা করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ এক অন্ধকার অতীত পেরিয়ে নতুনভাবে পুনরুজ্জীবনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
(ঢাকাটাইমস/১জুন/এলএম/মোআ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ

‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংহতি প্রকাশ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পেতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন: ফখরুল

দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে, কখন তারা ভোট দেবে: মঈন খান

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ইসিকে জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বান সালাহউদ্দিনের

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান: তারেক রহমান

রাজনীতিতে মন্টুর মতো মানুষদের বেশি প্রয়োজন ছিল: মির্জা ফখরুল

জাপা থেকে জি এম কাদের মাইনাস!

সাংবিধানিক সংস্কার: বিএনপিসহ ৩০ দলের সঙ্গে আবার বসছে ঐকমত্য কমিশন
